বুধবার, ২৫ মে, ২০২২ খ্রিস্টাব্দ, ১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
পবা এরিয়া প্রোগ্রাম ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ আয়োজিত শিকড় শিখন কেন্দ্র পরিচালনা কমিটির সাথে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। রোববার (২৩ জানুয়ারি) সকালে নওহাটা পৌরসভা এলাকার বারইপাড়া লার্নিং রুটস সেন্টার প্রাঙ্গনে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওহাটা পৌরসভার মেয়র মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ। এসময় তিনি লার্নিং রুটস সেন্টার পরিদর্শন করেন এবং পিঠা উৎসবে অংশগ্রহন করেন।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ম্যানেজার সেবাষ্টিয়ান পিউরীফিকেশন, নওহাটা পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পারভেজ, পবা এরিয়া প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম অফিসার পলাশ হিউবার্ট বিশ্বাস, আটটি লার্নিং রুটস্ সেন্টারের সভাপতিবৃন্দ, স্থানীয় নেত্রীবৃন্দ ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিতে থেকে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সম্পাদিত হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান পবা এপি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের লার্নিং রুটস সেন্টারের মহতী উদ্যোগকে প্রশংসা করেন ও নিজে বারইপাড়া সেন্টারের জন্য প্লাস্টিক ফাইবার টিন ও কুমড়াপুকুর সেন্টারের জন্য ৫০০ উন্নত জাতের পেঁপে চারা বিতরণের ঘোষণা করেন। এছাড়াও তিনি আরও উল্লেখ করেন যে কোমলমতি শিশুরা একসাথে বিভিন্ন ইফেন্ট বিশেষ করে যেমন কর্ণার গেম, বাহিরের খেলা গান ও নাচের মাধ্যমে যে শিক্ষা গ্রহন করছে তা খুবই উপকারী এবং শিশুরা আনন্দের সাথে বেড়ে উঠছে।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ সিনিয়র ম্যানেজার সেবাষ্টিয়ান পিউরীফিকেশন বলেন, পবা এলাকায় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ মোট ৩৫টি লার্নিং রুটস্ সেন্টার (হুজুরীপাড়া-০৬, দর্শনপাড়া-৭, দামকুড়া-৭, হরিপুর-৭ ও নওহাটা-৮) পরিচালনা করেছে। যেখানে ৩ থেকে ৫ বছরের বয়সী ৭০০ শিশুর বুদ্ধির বিকাশ, সামাজিক ও আবেগীয় বিকাশ, ভাষার বিকাশ ও শারীরিক বিকাশ সাধন করে আনুষ্ঠানিক বিদ্যালয়ে ভর্তি উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়।
উল্লেখ্য যে, এসব সেন্টারের শিশুরা পরবর্তীতে স্কুলের বিভিন্ন পরীক্ষা ও কর্মসূচীতে কৃতিত্বের সাথে অংশগ্রহণ করে। এছাড়া লার্নিং রুটস্ সেন্টারের ৭০০ এবং সেন্টারের আশেপাশের আরও ৭০০ (৬ থেকে ৩৬ মাস বয়স) মোট ১৪০০ শিশুকে মাসে একবার এলাকার জনগনের সহযোগীতায় পুষ্টিকর খিচুড়ি খাওয়ানো হয় এবং তাদের জিএমপি- এর মাধ্যমে পুষ্টির অবস্থা মনিটরিং করা হয়।