বৃহস্পতিবার, ২২ মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
শিবগঞ্জ(চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে একই পরিবারের পাঁচ প্রতিবন্ধীর ভাতা উত্তোলন নিয়ে বির্তকের ঝড় উঠেছে। তারা সকলেই আসল প্রতিবন্ধী না ভূয়া তা নিয়ে চলছে নানা ধরনের গুঞ্জন। তবে এলাকাবাসীর ভাষ্য তার পরিবারে কেউ প্রতিবন্ধী নেই। ঘটনাটি শিবগঞ্জ উপজেলার সাত নম্বর শ্যামপুর ইউনিয়নের ৪.৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য মাকসুদা বেগমের পরিবারের।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে কৌশলে মহিলা ইউপি সদস্য মাকসুদা বেগম তার, আব্দুল করিম, দুই মেয়ে মাসুমা আক্তার, তাসলিমা আক্তার ছেলে মাসুম বিল্লাহর নামে প্রতিবন্ধী ভাতা দীর্ঘ সাত বছর যাবত ভোগ করে আসছে। অথচ তারা কেউ প্রতিবন্ধী নয়। সমাজসেবার প্রতিবন্ধী তালিকায় তাদের নামের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এব্যাপারে ৪.৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য মাকসুদা বেগমের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কেন ফোন করেছেন? আমি কিছু জানিনা।
আমি হাসপাতালে আছি বলে ফোন কেটে দেন। শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, আমার জানা মতে শুধু মাকসুদা বেগমের দুটি আঙ্গুল আঙ্গুল জোড়া লাগানো। তাছাড়া তার পরিবারের কেউ সাদৃশ্যমান প্রতিবন্ধী নেই। তাদের ডাক্তারের সার্টিফিকেটে কি আছে তা জানিনা। তাবে ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী তালিকায় তাদের পাঁচ জনের নাম আছে। এটি মূলত সমাজ সেবা অফিসের দায়িত্ব। তবে বিষয়টি নিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজাহার আলির সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করবো। এ বিষয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. কামাল উদ্দিন বলেন, এটি অনেক আগের ঘটনা। এতদিন পর তা নিয়ে তোড়জোড়টা অনেকটা প্রশ্নবিদ্ধ। তবে যদি কেউ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এবং তিনি পুনরায় ডাক্তারী পরীক্ষা করার নির্দেশ দিলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পরিক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন ডাক্তারি পরিক্ষাগুলি কিছু কিছু অদৃশ্য থাকে যা সরাসরি দেখে বুঝা যায় না।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নুরুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পর্যায়ে সমাজ সেবার কর্মীকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তিনি তদন্ত রিপোর্ট দিলে সে মোতাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে আলোাচনা সাপেক্ষে আবারো ডাক্তারি পরিক্ষার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তিনি আরো বলেন, প্রথমত প্রতিবন্ধী মেডিকেল সনদ ও ইউনিয়ন পর্যায়ে প্রতিবন্ধী যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে তালিকা আমাদের কাছে জমা দেয়া হয়। আমরা শুধু এটা বাস্তাবায়ন করি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলী বলেন. ঘটনাটি দুঃখজনক। তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।