শিবগঞ্জে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ

আপডেট: অক্টোবর ৮, ২০২৪, ৭:৩২ অপরাহ্ণ

শিবগঞ্জ প্রতিনিধি


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে এক মৌলভী শিক্ষকের বিরুদ্ধে জাল সনদে চাকরি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিবগঞ্জ উপজেলার দাইপুখুরিয়া ইউনিয়নের কর্ণখালি এহইয়াউল উলুম দাখিল মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান (ইব্রাহিম খলিল)। তিনি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চাকুরি করছেন বলে তাঁর দাবি।



এদিকে, অভিযোগটি অনুসন্ধানে জানা গেছে সুপাররিন্টেডেন্ট মো. সাদিকুল ইসলাম। অভিযোগের বিষয়ে মৌলভী শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান (ইব্রাহিম খলিল)’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এই প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে চাকুরি করছি। আমার সমস্ত কাগজপত্র সঠিক আছে। তবে, মৌলভী শিক্ষকের শিক্ষাগত সনদ দেখতে কাগজপত্র বাসায় আছে বলে জানান। এছাড়া কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কত সালে কোন কোন ডিগ্রি অর্জন করেছেন তা জানতে চাই তিনি সঠিকভাবে বলতে পারেননি । এমনকি এই প্রতিবেদককে বলেন আপনি আমাকে হয়রানি করতে আসেন না।

এদিকে, সুপাররিন্টেডেন্ট মো. সাদিকুল ইসলাম বলেন, মৌলভী শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান আমার অনেক আগে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক। আমি ২০১০ সালে সুপার পদে নিয়োগ পেয়েছি। মৌলভী শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান (ইব্রাহিম খলিল) এর সনদপত্র জাল কি না তা আমার জানা নেই।

আমার নিয়োগের পর শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রতিষ্ঠান অডিটে আসেন। অডিট চলাকালে মৌলভী শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান তাঁর সমস্ক নথিপত্র ফাইল হাতিয়ে নিয়ে বাড়ি নিয়ে চলে যান। সেই অন্যান্য শিক্ষকরা একই কাজ করেন। আমার নথিপত্র সংরক্ষিতগারে কোনো শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত কোন নথিপত্র নাই।

শিবগঞ্জ উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজান মো. মুরশিদুল আলম জানান, মৌলভী শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান (ইব্রাহিম খলিল)’র সনদপত্র ভূয়ার বিষয়টি আমার জানা নাই। আপনার জানলাম, কেউ যদি এবিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেন তাহলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এব্যাপারে কর্ণখালি এহইয়াউল উলুম দাখিল মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরান বলেন, মৌলভী শিক্ষক মো. খলিলুর রহমান (ইব্রাহিম খলিল)’র বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেটি তাঁর সনদপত্র জাল। এবিষয়টি আমি অবগত হলাম। এই বিষয়টি আমি আমার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেবো। তদন্তের প্রেক্ষিতে যদি সত্যতা পায় তাহলে মাউশি/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে জানাবো। পরবর্তীতে মাউশি/মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।