শিবগঞ্জে ছাত্রদলের ব্যানারে লটারি আয়োজনের অভিযোগ

আপডেট: এপ্রিল ১৫, ২০২৫, ১১:৩৯ অপরাহ্ণ

শিবগঞ্জ প্রতিনিধি:


চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ছাত্রদলের ব্যানারে লটারি নামক জুয়া খেলা আয়োজনের অভিযোগ উঠেছে। পবিত্র ইদুল ফিরত উপলক্ষে এ আয়োজন করেন উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদল। ২০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে লোভনীয়। এতে সাধারণ মানুষ লোভে পড়ে কিনছে লটারীর টিকিট। তবে, কে বা কাহারা ছাত্রদলের ব্যানারে লটারী নামক জুয়া আয়োজন করেছে তা তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন শিবগঞ্জ উপজেলা শাখা ছাত্রদলের দায়িত্বশীলরা। অন্যদিকে, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও আইনী ব্যবস্থা নেয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নির্বাহী অফিসার মো. আজহার আলী।

এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের পাঁকাটোলা গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মোঃ মুর্শেদ এর নেতৃত্বে ছাত্রদলের ব্যানারে লটারী নামক এই জুয়া খেলা আয়োজন করেছে বিনোদপুর ইউং ক্লাব। যা জেলা বা উপজেলা প্রশাসনের কোন অনুমতি ছাড়াই। শুধু তাই নয়, দলীয় ব্যানারে লটারী নামক জুয়ার আয়োজন করে রীতিমত দলেল ভাবমর্তি নষ্ট করেছে বলে অভিযোগ উপজেলা ছাত্রদল শাখার দায়িত্বশীল নেতাদের।

এব্যাপারে ছাত্রদলের ব্যানারে লটারী নামক জুয়া খেলা আয়োজক বিনোদপুর ইউনিয়নের পাঁকাটোলা গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে মোঃ মুর্শেদ বলেন, আমি ঈদুল ফিতর উপলক্ষ করে লটারীর আয়োজন করেছি। আমি বিনোদপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের কর্মী এবং সভাপতি পদপ্রার্থী। আমি বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অনুমতি নিয়েছি ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে অনুমতির জন্য আবেদন করেছি।

শিবগঞ্জ উপজেলা শাখা ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বারিউল ইসলাম তুষার বিশ^াস বলেন, দলীয় ব্যানারে কে বা কারা লটারী করেছে তা আমার জানা নাই। তবে, যেই করুক না কেনো এটি সম্পূর্ণভাবে অপরাধযোগ্য। এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং আমরা দতন্ত করে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।

শিবগঞ্জ উপজেলা শাখা ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব মো. মোখলেসুর রহমান জানান, বিনোদপুর ইউনিয়ন শাখা ছাত্রদলের ব্যানারে কে বা কাহারা র‌্যাফেল ড্র এর আয়োজন করেছে তা জানি না। তবে, র‌্যাফেল ড্র কিংবা লটারাী যেটাই হোক না কেনো, এটি একটি জুয়া খেলা। আর জুয়া খেলা ছাত্রদল কোন মতেই সমর্থন করে না। আমি এটি ঘৃণা ও তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমি বিষয়টি জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের কাছে অবহৃত করেছি। যাহারা দলীয় ব্যানার ব্যবহার করে এমন জঘৃণ্য কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে আমরা দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিবো।

এদিকে, বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন বলেন, আমাকে মুর্শেদ বলেছে যে, বিনোদপুর ইউং ক্লাবে একটি লটারীর আয়োজন করেছি। আপনার মতামত দেন। তাই আমি তার মতামত পত্রে সই করেছি। আমি অনুমতি দেয়ার কে?

এদিকে, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজহার আলী বলেন, শিবগঞ্জ উপজেলায় কাউ কে কোনো লটারী খেলা করার অনুমতি দেয়া হয়নি। সংবাদ পেয়ে লটারী বিক্রয়ের কার্যক্রম বন্ধ করতে বলা হয়েছে। যদি বন্ধ না করে তাহলে আয়োজকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। জনগণের উদ্দেশ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আপনারা কেউ লোভে পড়ে লটারী কিনবেন না।