শিবগঞ্জে জেঁকে বসেছে শীত ও হিমেল হাওয়া, জনজীবন বিপর্যস্ত

আপডেট: জানুয়ারি ১২, ২০২৪, ৮:২৩ অপরাহ্ণ


শিবগঞ্জ প্রতিনিধি:


পৌষের শেষে জেঁকে বসেছে শীত ও হিমেল হাওয়া। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। থমকে গেছে মানুষের জীবনযাত্রা। প্রচন্ড শীতে সরিষা, আলু, ধানের বীজ তলা সহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে কৃষক সমাজ। বিশেষ করে দারিদ্র সীমার নীচে ও নদীভাঙ্গন কবলিত এলাকায় যারা বাস করে তারা সবচেয়ে বেশী কষ্টে আছে। কারণ দরিদ্র ও অসহায়রা না খাটলে খেতে পায় না। কিন্তু এ শীতে ও হিমেল বাতালে তাদের খাটা বন্ধ হয়ে গেছে। আর নদী ভাঙ্গন কবলিত পাঁকা, দূর্লভপুর,উজিরপুরও মনাকষা এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠী নদীর তীরে ও চরে বাস করায় ঠান্ডায় তাদের কষ্ট আরো বেশী। অন্যদিকে ঠান্ডাজনিত কারনে বিভিন্ন রোগে আাক্রান্ত হচ্ছে বয়স্ক মানুষের সাথে সাথে সাথে শিশুরাও। শুধু মানুষই নয়। অতিরিক্ত শীত ও হিমেল বাতাসে পশু পাখিও কাবু হয়ে পড়েছে।

গরু ছাগল পিপি আর, পাতলা পায়খানা ও ঠান্ডায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছে শত শত গরু ছাগল। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে খামারিরা। সরজমিনে নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা, আশ্রয়ন প্রকল্প গুলো , চককীর্তি -ধাইনগর ইউনিয়নের হিন্দু অধ্যূষিত অত্যন্ত গরীব এলাকা নামে খ্যাত চৌধুরী পাড়া গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে ঠান্ডার পোশাক কিনতে না পারায় খড় কুটা কুড়িয়ে আগুন জে¦লে ঠান্ডা নিবারণ করা চেষ্টা করছে। অনেক বয়স্ক মানুষ ঠান্ডায় থরথর করে কাঁপছে।তাদের আকুতি গরম কাপড় ও শীত বস্ত্র পাওয়ার। এ ব্যাপারে শিবগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, আমরা এপর্যন্ত সাত হাজার কম্বল বরাদ্দ পেয়েছি।যা ইতিমধ্যে বিতরণ শুরু করেছি। তারমধ্যে নদী ভাঙ্গন কবলিত,আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দা, অসহায় ও দুস্থদের মাঝে বিতরণ শুরু করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, এবারে বরাদ্দের বিতরণ শেষ হলে আবারো তালিকা পাঠানো হবে। দুস্থ ও অসহায় বান্ধব সরকারের আমলে কোন অসহায়, দুস্থ মানুষ যেন কষ্ট না পায় সে জন্য যথাসাধ্য কাজ করে যাচ্ছি।