শিবগঞ্জে দ্রব্যমূল্য আকাশ ছোঁয়া, সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে

আপডেট: অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ১২:৪৩ অপরাহ্ণ


শিবগঞ্জ(চাঁপাইনবাবগঞ্জ) সংবাদদাতা:


চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলার প্রত্যান্তাঞ্চলে দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বি। প্রতিটি পণ্যের দাম দিন দিন বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ গ্রাহকের ক্রয় ক্ষমতার বাইওে চলে গেছে। বিশেষ করে দিনমজুরদের অবস্থা খুবই খারাপ। পণ্যের মধ্যে কাঁচামরিচের দাম রয়েছে সবচেয়ে বেশি।

অনেকের মতে বন্যা ও বর্ষার কারণে সবজি খেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সবজির দাাম বেশি হয়েছে। গত কয়েকদি জেলা ও উপজেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ও শিবগঞ্জ, গোমস্তাপুর, ভোলাহাট ও নাচোলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেেেছ, ঢেঁড়শ ও মিষ্টি কুমড়া ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, ঝিঙ্গা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, কুমড়াজালি ও লাউ প্রতিটি ৫০ টাকা, পটল কেজি প্রতি ৬০-৭০ টাকা, পাতা কপি ছিল ৮০ টাকা কেজি, ১০০ টাকা, ৩০-৩৫ টাকা, কাঁচাকলা ৭০ টাকা, কচু ৭০ টাকা।

কাঁচা মরিচ প্রতিকেজি ৪৫০/৫০০ টাকায়। সব চেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের। আর ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৫৪ টাকায়। একই বাজারের মুদি দোকানদার আব্দুর রহমান বাবু জানান, জিরাশাইল চাল প্রতি কেজি মান ভেদে ৭০-৭৫ টাকা, আটাশ ধানের চাল প্রতি কেজি ৬০-৬২ টাকা, লাল স্বর্ণা ধানের চাল ৫৮ টাকা থেকে ৬০, সাদা স্বর্ণা ৪৫-৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, ডালের দাম আগের মতনই রয়েছে। মসুর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১১০-১২০ টাকা, দেশি ছোলার ডাল ১২৫ টাকা, খেসাড়ির ডাল ১০০-১১০ টাকা, মটর ডাল ১২৫-১৩০ টাকা, মাসকলাইয়ের ডাল ২০০-২১০ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।

খোলা গমের আটা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি বেড়ে ৪২ টাকা, প্যাকেটজাত আটা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৭৫ টাকা, চিনি ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১১৫-১২০ টাকা এবং ভারতীয়টা ১০০-১০৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে মুরগি বিক্রেতা শরিফুল ইসলাম জানান, লেয়ার ২৯০-৩০০ টাকা, সোনালি ২৪০-৩০০ টাকা প্যারেন্স ২৮০-২৯০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আলম জানান, দেশি মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা।

অন্যদিকে মাংস বিক্রেতা সেলিম জানান, ভালো মানের গরুর মাংস ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ বিক্রেতারা জানান, পিয়লি প্রতি কেজি ৫২০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ টাকা, নদীর ছোট চিংড়ি ৬০০ টাকা, পুঁটি ৩০০ টাকা, ট্যাংরা ১ হাজার ৩শো টাকা, রুই ৩৪০ থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৩০০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ টাকা ও এক কেজি ওজনের টা ২ হাজার টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে।

মনাকষা বাজারের সূচনা স্টুডিওর মালিক ও ফটো ব্যবসায়ী ডালিম উদ্দিন জানান আমার জীবনে এত বেশি পণ্যের দাম দেখেনি। যা সাধারণ গ্রাহকের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। অন্যদিকে শিবগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট আম ব্যবসায়ী রুবেল হক জানান, বাজারগুলোতে সঠিক মনিটরিং হলে বাজারে দ্রব্যমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণ হতো ।কিন্তু তা হচ্ছে না। ফলে বাজারে যে যে ভাবে পারছে সে সেভাবে পণ্যের দাম নিচ্ছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্ত ৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।

 

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ