রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
শিবগঞ্জ প্রতিনিধি
বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলের সনাতন সম্প্রদায়ের পবিত্র দিন ছিল গতকাল শুক্রবার। চন্দ্র মাসের তারিখ হিসাবে প্রতিবছর রাজশাহী অঞ্চলের হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ সবাই উপজেলার তর্ত্তিপুর নামকস্থানে পৌরণিক জাহ্নমুনির আশ্রমের কাছে গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে থাকেন।
জানা যায়, এই গঙ্গাস্নান অধিকাংশ বছরই মাঘ মাসে অনুষ্ঠিত হয় বলে একে মাঘী বান্নী স্নান বলে। কিন্তু চাঁদের উপর নির্ভর করে কোন কোন বছর ফাল্গুন মাসেও গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহী অঞ্চলের নাটোর, নওগাঁ এলাকা থেকে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পুরুষ-নারীরা বাস, মিনিবাস, মাইক্রো, মিশুক, রিক্সাসহ বিভিন্ন প্রকার যানবহন যোগে দূরদূরান্ত থেকে গঙ্গাস্নান অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য পূর্বদিন থেকেই পৌরণিক জাহ্নুমুনির আশ্রমে আসতে শুরু করে। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত তীর্থযাত্রীদের আসা অব্যাহত ছিল। সকলে স্থানীয় গঙ্গায় স্নান পর্ব শেষ করে বিভিন্ন ধরণের ভুরিভোজ করে থাকে। এই ভুরিভোজের মধ্যে স্থান পায়, শিবগঞ্জের বিখ্যাত চমচমসহ অন্য মিষ্টান্ন দ্রব্য, রাজারামপুর ও নসিপুরের দই, রহনপুরের মুড়ি ও চিড়া এবং ভোলাহাটের সাগর কলা। প্রায় মহিলারাই বাড়ি ফেরার সময় নানা ধরনের মাটির পাত্রে সযতেœ গঙ্গার পবিত্র জল নিয়ে যায়।
অনুষ্ঠানে আগত আনুমানিক ৮২ বছর বয়স্কা কিরণবালা নামে এক বৃদ্ধার কাছ থেকে জানা যায়, সংগৃহীত এ পবিত্র জল সমগ্র বছর বাড়িতে রেখে বিভিন্ন পূজা পার্বনে ব্যবহার করে থাকে। বিগত বছর গুলিতে ভোর ৬টা থেকে গঙ্গা¯œান শুরু হলেও এবার ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতের কারণে গঙ্গা¯œান শুরু হয় সকাল ৮টার পর থেকে। অন্য বছরের চেয়ে এবার হিন্দু সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষের সমাগম অনেক বেশি। এবারের তত্তিপুরের গঙ্গা¯œানের স্থানটির কিছু অংশ স্থানীয় প্রভাবশালীরা ইরি-বোরো ধান রোপণ করায় গঙ্গা¯œানের স্থানটি সংকুচিত হয়েছে।