শনিবার, ১ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
শিবগঞ্জ প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মাসুদপুর, সিংনগর ও মনোহরপুর সীমান্ত এলাকার তিনটি বিওপির অধীনস্ত এলাকায় কোন গরুর বিট না থাকায় একদিকে যেমন কয়েক হাজার শ্রমিক, সহ¯্রাধীক গরু ব্যবসায়ী বেকার হয়ে পড়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন, অন্যদিকে চোরাইপথে ভারত থেকে আমদানিকৃত গরু করিডোর না হওয়ায় সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
সরেজমিন ঘুরে সীমান্ত এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার গুরু ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও অন্যান্য সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মাসুদপুর, সিংনগর ও মনোহরপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২শ করে গরু চোরাই পথে আসছে। আর চোরাই পথে গরু আসতে সহযোগিতা করছে কয়েকজন দালাল। যারা বিজিবির অজুহাত দিয়ে গরু প্রতি এক হাজার টাকা করে আদায় করছেন। চোরাই পথে আমদানি হওয়া গরুগুলো সীমান্ত এলাকার গ্রামে বা মহল্লায় বাড়িতে রেখে ইউনিয়ন পরিষদ ও বিজিবির নিটক হতে কাগজ করে বাড়ির গরু হিসাবে বৈধ করে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন পশু হাটে বিক্রি করছে। ফলে সরকার প্রতিদিনই প্রায় সোয়া লাখ টাকা রাজস্ব হতে বঞ্চিত হচ্ছে।
মাসুদপুর বিওপির অধীনস্ত সাবেক বিট মালিক ও বিশিষ্ট গরু ব্যবসায়ী সফিকুল ইসলাম জানান, সীমান্ত এলাকার তিনটি বিওপির অধীনে গরুর বিটের ব্যবস্থা হলে একদিকে প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক ও সহ¯্রাধীক গরু ব্যবসায়ী উপকৃত হবে এবং সরকার মোটা অঙ্কের রাজস্ব পাবে। অন্যদিকে বিটে কাজ করা শ্রমিক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, মাসুদপুর ঠুঠাপাড়ায় গরুর বিট না থাকায় কোন কাজ না পেয়ে বেকার হয়ে পড়েছি। এভাবে কাড়ি ব্যবসায়ী, হোটেল ব্যবসায়ী সহ শত শত লোক একই সুরে কথা বলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির অজুহাতে টাকা আদায়কারী একজন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, চোরাইপথে গরু খুব আমদানি হচ্ছে। তবে বিজিবি সদস্যরা তৎপর হয়ে চোরাইপথে আমদানি হওয়া গরুগুলো ধরে চালান দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে মনাকষা, মনোহরপুর ও মাসুদপুর বিওপির কমান্ডারগণ জানান, চোরাইপথে কোন গরু আমদানি হচ্ছে না। তবে এলাকায় বিট হলে গরু আমদানির মাধ্যমে আমাদের দেশের রাজস্ব বাড়তো, অনেক গরীব লোকের কর্মসংস্থান হতো এবং গরু দেশের বিভিন্ন এলাকায় রফতানি করা যেতো।
এ ব্যাপারে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বিজিবির ৫৯ বাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আবুল এহসানের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ফোন রিসিভ না করায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।