শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশে বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে || প্রশিক্ষণে যুগ্মসচিব আইনুল হক

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭, ১২:০২ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক



মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কর্তৃক পরিচলিত এবং ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড অ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট (আইসিএইচডি) কর্তৃক বাস্তবায়িত প্রারম্ভিক মেধাবিকাশ দক্ষতা বৃদ্ধি কর্মসূচীর ইসিসিডি বিষয়ক ফাউন্ডেশন কোর্স (শিশুরা কিভাবে শেখে?) আওতায় আয়োজিত প্রশিক্ষণ কর্মশালার শেষ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে শিশুর বিকাশ ও লালন-পালন বিষয়ক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব আইনুল কবির। ফ্যাসিলেটর ছিলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ড. হ্যাপি কুমার দাশ, সুলতানা কানিজ ফাতেমা ও রায়হানারা জামান প্রমুখ।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুদের লালন-পালন ও প্রারম্ভিক বিকাশে বাবা-মাকে আরো সচেতন হবে। যা পরিবেশের সঙ্গে খাপখাওয়াতে সহায়তা করতে পারবে। শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশুনা ব্যবস্থা করেছেন সরকার। শিশুদের ৬ বছরের আগে স্কুলে ভর্তি করা যাবে না, তা নীতিমালায় উল্লেখ করা আছে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বলা হয়, শিশুর লালন পালন বিষয়ে সরকারি ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তাদের বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সরকারের গৃহীত শিশুর প্রারম্ভিক যতœ ও বিকাশের সমন্বিত নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা করা এই প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য। রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে শিশুর বিকাশ বিষয়ক চার দিনব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা পবার বায়াতে আশ্রয়স্থ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ কর্মশালা শুরু হয়। শিশুর বিকাশ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে সরকারের বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা, সরকারি ও বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, সাংবাদিক ও এনজিও প্রতিনিধিসহ মোট ৫২ জন অংশগ্রহণ করেন।
শিশুর বিকাশ বিষয়ে বিশেষভাবে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদানকারী অভিজ্ঞ কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সমন্বয়ে গঠিত মাস্টার ট্রেইনারদের একটি দল এই প্রশিক্ষণ কর্মশালা পরিচালনা করেন। প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ প্রদানের মধ্যদিয়ে অংশগ্রহণকারীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, শিশুর সুষ্ঠু বুদ্ধির মানসিক ও শারীরিক বিকাশের ফলাফল সুফলতা ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে। এতে পরিবারের পাশাপাশি সবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। শিশুর বুদ্ধির বিকাশে প্রাকৃতিক পরিবেশ, খাদ্য ও পুষ্টির গুণগত মানের ব্যাপক ভূমিকা রাখে। একটি শিশুর পরিপূর্ণ বুদ্ধির বিকাশে বাবা-মা’র সঠিক পরিচর্যা ও সচেতনতা বিষয়টি প্রশিক্ষণে উঠে আসে। এছাড়া শিশুর সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা ও পরিবেশের সাথে সঙ্গতিপূর্ণভাবে অভিযোজন করতে পারে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ