সোমবার, ৭ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :ইউরোপের একটি দেশের প্রেসিডেন্ট সম্প্রতি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কয়েক দিন ধরে দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল।
শিশুদের নিগ্রহকারীকে ক্ষমা করার জন্য জনরোষের মুখে পড়েছিলেন হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট। ক্রমাগত তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। বাধ্য হয়ে পদত্যাগ করেন তিনি।
৪৬ বছর বয়সি হাঙ্গেরির প্রেসিডেন্ট ক্যাটালিন নোভাক সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলে নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। ২০২২ সাল থেকে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে আছেন। গত বছর তাঁর নেয়া একটি সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে দেশে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, এক শিশু নিগ্রহকারীকে ক্ষমা করে দেন ক্যাটালিন। দেশের মানুষ প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেন নি। তাই তাঁর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছিল মধ্য ইউরোপের দেশটিতে।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে ক্ষমা প্রদর্শন করে অপরাধীর সাজা লাঘব করেছিলেন ক্যাটালিন। ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে শিশু নিগ্রহের অভিযোগ প্রমাণিত। সরকারচালিত একটি হোমে তিনি শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতন চালাতেন। গোপনে দীর্ঘ দিন ধরে এই কাজ করে আসছিলেন তিনি।
পরে ধরা পড়েন এবং আদালত তাঁর শাস্তির নির্দেশ দেয়। ৮ বছরের সাজা হয়েছিল ওই অপরাধীর। ক্যাটালিন প্রেসিডেন্টের ক্ষমতাবলে তা কমিয়ে দিয়েছিলেন।
পদত্যাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে গিয়ে ক্যাটালিন বলেন, ‘আমি একটা ভুল করে ফেলেছি। আমার সিদ্ধান্তে অনেকে ব্যথিত হয়েছেন। ভুল বার্তা গিয়েছে সমাজের কাছে। তাই আমি প্রেসিডেন্টের পদ ছেড়ে দিচ্ছি।’
হাঙ্গেরির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসাবে ২০২২ সালে শপথ নিয়েছিলেন ক্যাটালিন। তার আগে তিনি শাসকদল ফিডেসের মন্ত্রী ছিলেন। ওই দল ২০১০ সাল থেকে হাঙ্গেরির ক্ষমতায় রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে হাঙ্গেরির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ক্যাটালিন। তাঁর সিদ্ধান্তে শাসকদলও অস্বস্তিতে পড়েছিল। দেশ জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ চেয়ে। জনগণের দাবিকে মান্যতা দিয়ে পদ ছেড়েছেন ক্যাটালিন।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন