বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকৃতিতে শীতের আগমনী বার্তা। সেই সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দিয়েছে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টি। ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত পড়তে থাকে বৃষ্টি। এমনিতেই কার্তিকের শুরু থেকেই প্রকৃতিতে শীতের আমেজ বইছে। ভোরে শীত পড়ছে । যেন বা প্রকৃতিতে শীতকাল নিয়ে আসতেই অসময়ে এই বৃষ্টির ধারা।
বাংলায় ‘পৌষ ও মাঘ’Ñ এই দুই মাস শীতকাল হলেও ইংরেজিতে ‘ডিসেম্বর-জানুয়ারি’ শীতকাল। কিন্তু প্রকৃতিতে নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয়ে শীতকাল। সে হিসেবে শীতকাল পড়তে আর খুব বেশি দিন বাকি নেই। নভেম্বর মাস শুরু হতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। কিন্তু বাংলার হিসেবে শীতকাল আসতে দেরি এখনো টানা এক মাস। কারণ অগ্রহায়ণ মাসের শুরু হতে বাকি এখনো টানা সতের দিন। অগ্রহায়ণের পড়েই পৌষ মাস। ঋতু বৈচিত্র্যের এই বাংলাদেশে পরিবর্তন ঘটছে আবহাওয়ারও।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৮ দশমিক দুই মিলিমিটার। ভোর ৫টা দুই মিনিট থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। চলে ৫টা পঁয়ত্রিশ মিনিট পর্যন্ত। এই সময়ে বৃষ্টি হয়েছে দুই দশমিক শূন্য ছয় মিলিমিটার। এরপর পৌনে আট থেকে বৃষ্টি শুরু হয়ে চলে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত। এই সময়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৫ দশমিক নয় ছয় মিলিমিটার।
উপশহর এলাকার বাসিন্দা খলিলুল্লাহ সরকার বলেন, রাজশীতে শীত ও গরম দুটোই বেশি। জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে শীতের সময়কাল খুব অল্প হয়ে যাচ্ছে। কার্তিক মাসের শুরু থেকে শীতের আমেজ বইছে প্রকৃতিতে। ভোর বেশ শীত পড়ে। কাঁথা গায়ে জড়াতে হয়। বৃষ্টি শীতের সেই সম্ভাবনাকে আরো বাড়িয়ে দিলো।
আলুপট্টি এলাকার বাসিন্দা শাহীন শওকত বলেন, কয়েকবছর আগে নভেম্বর মাসে তীব্র শীত পড়তো। এখন ডিসেম্বরেও খুব শীত পড়েনা। জানুয়ারি আর ফেব্রুয়ারিতে তীব্র শীত পড়ে। অথচ বাংলাদেশের উষ্ণতম মাস হচ্ছে এপ্রিল। মার্চের শুরু থেকেই তীব্র গরম পড়ে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণেই এমনটি ঘটছে।