বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
এবার আর ফোন বা চিঠিতে নয়। শুটিং ফ্লোরে ঢুকে সরাসরি সলমনকে প্রাণনাশের হুমকি দিল এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে আটক হওয়ায় সলমনের কাছে যেতে না পারলেও, দূর থেকেই সলমনকে প্রাণনাশের হুমকি দেন সেই ব্যক্তি এবং দাবি করেন তিনি লরেন্স বিষ্ণোইর দলের লোক! পুলিশ ব্যক্তিকে আটক করেছে। তবে এই ঘটনা নিয়ে এখনও পর্যন্ত সলমনের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, প্রথমে বন্ধু বাবা সিদ্দিকির হত্যা। তার পর একের পর এক খুনের হুমকি। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় নাম জড়ানোর পর থেকেই লরেন্স বিষ্ণোইর নেতৃত্বাধীন বিষ্ণোই গ্যাংয়ের নিশানায় সলমন খান। আতঙ্ক বাড়ে বাবা সিদ্দিকির হত্যাকাণ্ডের পর থেকে।
দশেরার দিন বাবা সিদ্দিকিকে হত্যা করা হয়। পূর্ব বান্দ্রায় বাজি ফাটাচ্ছিলেন এনসিপি (অজিত) নেতা। সেই সময়ই তার উপরে দুষ্কৃতীদের হামলা হয়। আচমকাই সেখানে হাজির হয় তিন দুষ্কৃতী। তারা লাগাতার গুলি চালাতে থাকে। গুলি ফুঁড়ে দেয় সিদ্দিকির শরীর। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় সিদ্দিকির। ঘটনায় একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বন্ধুর মৃত্যুসংবাদ পেয়ে হাসপাতালেও ছুটে গিয়েছিলেন সলমন। শোনা গিয়েছে, অত্যন্ত ভেঙে পড়েছেন তিনি। কিন্তু হুমকির শেষ নেই। এর আগে হুমকি বার্তা পাঁচ কোটি টাকার দাবি করা হয়েছিল। সেই ঘটনার অভিযুক্ত হিসেবে জামশেদপুরের এক সবজি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর মধ্যেই আবার কিছুদিন আগে আবার সলমন খান ও বাবা সিদ্দিকির ছেলে তথা মুম্বইয়ের বান্দ্রা-পূর্ব আসনের বিধায়ক জিশান সিদ্দিকিকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে নয়ডা থেকে ২০ বছরের এক যুবককে পাকড়াও করা হয়েছে। কিন্তু তার পরও হুমকির পালা অব্যাহত।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন