শুরু হলো ভোটের যুদ্ধ প্রার্থীরা আচরণ বিধি মেনে চলুন

আপডেট: ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

শুরু হয়ে গেল ভোটের যুদ্ধ। এই দিনটির জন্য প্রার্থীরা উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছিলেন। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বিতরণ হয়েছে। এক মুহূর্ত সময় নষ্ট নয়- যে যার মত নির্বাচনি মাঠে নেমে পড়েছেন। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাওয়া শুরু করেছেন। ভোটারদের মধ্যেও উৎসাহ-উদ্দীনার শেষ নেই। নির্বাচন প্রতিহত করার বিএনপি-জামাতের ঘোষণা থাকলেও ভোটাররা সরগরম করে তুলেছে মোড়ের চা-খানা, আড্ডায়, অফিসে কিংবা পথচলায়। পরিস্থিতি দেখে ধারণা করা হচ্ছে ভোটের লড়াই জমবে বেশ উৎসবমুখর পরিবেশে।

প্রার্থীররা প্রতীক পেয়েই নিজ নিজ নির্বাচনি এলাকায় প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। মূল সড়ক ও অলিগলিতে শুরু হয়েছে বিভিন্ন প্রতীকের স্লোগান। রাজশাহীর ৬টি আসনের সর্বত্রই বইছে নির্বাচনি হাওয়া। নিজ নিজ আসনে প্রার্থীদের পোস্টার ও ব্যানার-ফেস্টুন লাগানো শুরু হয়েছে। এমনকি প্রতীক বরাদ্দের দিন সকালেও কোনো কোনো এলাকায় প্রার্থীদের পোস্টার দেখা যায়। আবার রাতেই পোস্টার-ফেস্টুন ঝুলিয়ে দিতে ব্যস্ত সময় পার করেছেন কর্মি-সমর্থকরা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীরা প্রচারের সময় পাচ্ছেন ১৯ দিন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়ও একই সময় দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, প্রতীক নিয়েই প্রচার শুরু করতে পারেন প্রার্থীরা। আর তা শেষ হয় ভোটগ্রহণ শুরুর ৪৮ ঘণ্টা পূর্বে। প্রচার শেষ হবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টায়।

নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দিন সকালেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছে যাবে। সোমবার এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সব রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী দ্রব্যাদি পরিবহন ও বিতরণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া এবং ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।

নির্বাচনের তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর অগ্রবর্তী টিমকে ভোটের মাঠে নামতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। সংসদ নির্বাচনে সমগ্র বাংলাদেশের ৩শোটি নির্বাচনী এলাকায় ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত (যাতায়াত সময় সহ) সশস্ত্র বাহিনী নিয়জিত হবে মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আলোচিত ও সমালোচিত। কিন্তু সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নির্বাচন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্পও নেই। তাই বিএনপিসহ তাদের শরিকদের ভোট বর্জনের মধ্য দিয়েই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়ে গেছে। সন্দেহ নেই, এই নির্বাচন ক্ষমতাসীন দলের জন্য চ্যালেঞ্জও বটে। এবং এই চ্যালেঞ্জ এখন পর্যন্ত সক্ষমতার সাথেই মোকাবিলা করছে তারা। ভোটের আদ্যপ্রান্ত পর্যবেক্ষণ করবেন দেশি-বিদেশি বিপুল সংখ্যক পর্যবেক্ষক। নির্বাচন সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করতেই হবে। তবে ভোটাররা যে ভাবে সাড়া দিচ্ছেন তাতে ভোটারদের উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দেশের মানুষের প্রত্যাশা ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। তবে প্রার্থীদের দায়িত্ব হবে ভোটের পরিবেশ সুরক্ষিত করা, আচরণ বিধি মেনে চলা, সহিষ্ণুতা প্রদর্শন করা। ভোট কেন্দ্রের শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা প্রার্থীদেরও দায়িত্বের অংশ। সব বাধা উপেক্ষা করে নির্বাচনে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন- এই প্রত্যাশা রইল।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ