শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষন মামলায় মুক্তি পেলেন আরো ১৮ বিএনপি নেতাকর্মী

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ৯:৫২ অপরাহ্ণ

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি


৩০ বছর আগে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষন মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত ঈশ্বরদী ৪৭ বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে সোমবার (০৯ সেপ্টেম্বর) আরো ১৮ নেতাকর্মী মুক্তি পেয়েছেন। রাজশাহী জেলা কারাগার থেকে তারা মুক্তি পেয়ে ঈশ্বরদীতে ফিরে আসেন।

এ নিয়ে এই মামলায় কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের মধ্যে ৩০ জন মুক্তি পেলেন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজশাহী কারাগার থেকে গতকাল মুক্তিপ্রাপ্ত নেতাকর্মীরা হলেন আমিনুল ইসলাম আমিন, ইসমাইল হোসেন, আনিছুর রহমান সেকম, নুরুল ইসলাম আক্কেল, মো. রবি, বাবু, সেলিম আহমেদ, কল্লে¬াল, তুহিন, আবদুল্লাহ আল মামুন, আবদুল জব্বার, পলাশ, নেফাউর রহমান রাজু, আজমল হোসেন ডাবলু, চাঁদ আলী, জামরুল, তুহিন বিন সিদ্দীক ও ফজলুর রহমান প্রামাণিক।

এর আগে রোববার পাবনা কারাগার থেকে ১২ জন বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুক্তি দেওয়া হয়। তারা হলেন যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন বিশ্বাস, ইসলাম হোসেন জুয়েল, শামসুর রহমান শিমুয়া, আবুল কাশেম, শাহ আলম লিটন মাল, আজাদ হোসেন খোকন, এনামুল হক বিহারী এবং ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন জনি, আহমদ রিয়াজী রনো, বরকত আলী, ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন ও হাফিজুর রহমান মুকুল।

জানা গেছে, এই মামলার বিচার চলাকালীন সময়ে মারা যাওয়া আসামিরা হলেন এহতেশাম, আলমগীর হোসেন, ওসিয়া, জাবেদ করিম খোকন ও আলমগীর হোসেন। এছাড়া রায় ঘোষনার পর কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন আব্দুল হাকিম টেনু ও আবুল কালাম আজাদ। শারিরিক অসুস্থ্যতাজনিত কারনে এই মামলা থেকে আগাম জামিনে মুক্ত আছেন হুমায়ুন কবির দুলাল সরদার, মুক্তার হোসেন ও লাইজু সরদার।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই মামলার ৫২ আসামির মধ্যে ৯ জনকে ফাঁসি, ২৫ জনের যাবজ্জীবন এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড দেয় পাবনা জেলা জজ আদালত। তৎকালীন পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক রুস্তম আলী ২০১৯ সালের ৩ জুলাই জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

এই মামলায় কারাগারে অন্তরীন রয়েছেন মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামি-তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর প্যানেল মেয়র শামসুল আলম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এ.কে.এম আখতারুজ্জামান, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম ভিপি শাহিন, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম অটল, যুবদল নেতা আজিজুর রহমান শাহিন ও মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল।

প্রসঙ্গত : চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত এই হামলার ঘটনাটি ঘটে ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয় ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল এবং রায় ঘোষনা করা হয় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই।

এদিকে ৫ বছর পর মুক্তিলাভের পর কারাবন্দী এসব বিএনপি নেতাকর্মীদের কারাগারের প্রধান ফটক থেকে ঈশ^রদী শহর পর্যন্ত গাড়ি ও মোটর সাইকেল বহর নিয়ে সংবর্ধনা দিয়ে তাদের সোমবার ঈশ^রদীতে আনেন উপজেলা ও পৌর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version