শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা মুক্তি পেলেন ঈশ্বরদীর ১২ বিএনপি নেতা

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৪, ১০:০৫ অপরাহ্ণ

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:


৩০ বছর আগে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনে হামলা ও গুলিবর্ষণ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত ঈশ্বরদী ৪৭ বিএনপি নেতাকর্মীর মধ্যে পাবনা জেলা কারাগারে থাকা ১২ জন বিএনপি নেতা মুক্তিলাভ করেছেন। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পাবনা কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেওয়া হয়।

পাবনা জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মাসুদ খন্দকার এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, রোববার পাবনা থেকে যারা মুক্তিলাভ করেছেন তারা হলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আলাউদ্দিন বিশ্বাস, ইসলাম হোসেন জুয়েল, শামসুর রহমান শিমুয়া, আবুল কাশেম, শাহ আলম লিটন মাল, আজাদ হোসেন খোকন, এনামুল হক বিহারী এবং ১০ বছর করে সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত আনোয়ার হোসেন জনি, আহমদ রিয়াজী রনো, বরকত আলী, ইঞ্জিনিয়ার মুক্তার হোসেন ও হাফিজুর রহমান মুকুল।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই মামলার ৫২ আসামির মধ্যে ৯ জনকে ফাঁসি, ২৫ জনের যাবজ্জীবন এবং ১৩ জনকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেয় পাবনা জেলা জজ আদালত। তৎকালীন পাবনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-১-এর বিচারক রুস্তম আলী জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। মামলার পাঁচ আসামি বিচার চলাকালীন বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন। রায় ঘোষণার পর কারাগারে থাকা অবস্থায় মারা গেছেন আব্দুল হাকিম টেনু ও আবুল কালাম আজাদ। শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে এই মামলা থেকে আগাম জামিনে মুক্ত আছেন হুমায়ুন কবির দুলাল সরদার, মুক্তার হোসেন ও লাইজু সরদার।

কারাগারে অন্তরীণ থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-তৎকালীন ছাত্রদল নেতা ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ঈশ্বরদী পৌরসভার সাবেক মেয়র মকলেছুর রহমান বাবলু, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাবেক প্যানেল মেয়র শামসুল আলম, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি এ.কে.এম আখতারুজ্জামান, বিএনপি নেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ, ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম ভিপি শাহিন, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম অটল, যুবদল নেতা আজিজুর রহমান শাহিন ও মোস্তফা নুরে আলম শ্যামল।

এদিকে ৫ বছর পর মুক্তিলাভের পর কারাবন্দি এসব বিএনপি নেতাদের কারাগারের প্রধান ফটক থেকে ঈশ^রদী শহর পর্যন্ত গাড়ি ও মোটর সাইকেল বহর নিয়ে সংবর্ধনা দিয়ে তাদের ঈশ^রদীতে আনেন উপজেলা ও পৌর বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা।

প্রসঙ্গত : চাঞ্চল্যকর ও বহুল আলোচিত এই হামলার ঘটনাটি ঘটে ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। ওই ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয় ১৯৯৭ সালের ৩ এপ্রিল এবং রায় ঘোষণা করা হয় ২০১৯ সালের ৩ জুলাই।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version