রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্করের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একথা জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর উপ প্রেসসচিব এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “এপ্রিলের প্রথমার্ধ্বে প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে যাচ্ছেন।”
নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম সফরের পর শেখ হাসিনাকেও দ্বিপক্ষীয় সফরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
এই সফর গত বছরের ডিসেম্বরে হওয়ার কথা থাকলেও তা ঝুলে গিয়েছিল। এরপর ভারতের ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের ঢাকা সফরের সময় চলতি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধ্বে ওই সফরের ইঙ্গিত দেওয়া হলেও তা হয়নি।
তবে এর মধ্েয গত অক্টোবরে ভারতের গোয়ায় ব্রিকস-বিমসটেক আউটরিচ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। তা দ্বিপক্ষীয় সফর ছিল না।
দ্বিপক্ষীয় সফরের বিষয়ে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলে আসছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরটি ‘গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর’, যথাসময়ে তার সবাইকে জানানো হবে।
এম জে আকবর বলে গিয়েছিলেন, ভারতের সরকার এবং জনগণ শেখ হাসিনার সফরের জন্য আগ্রহভরে অপেক্ষা করছে।
এরপর বৃহস্পতিবার ঢাকা সফরে আসেন তাদের পররাষ্ট্র সচিব জয়শঙ্কর। তিনি সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন।
বৈঠকে জয়শঙ্করও বলেন, শেখ হাসিনার সফরের জন্য ভারতের সরকার ও জনগণ আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে।
আধা ঘণ্টার এই বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মুখ্য সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক এবং ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও ছিলেন।
বৈঠকে জয়শঙ্কর বলেন, শেখ হাসিনার সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।
বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রেখে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কোন্নয়নে জোর দেওয়া হবে বলে জানান প্রতিবেশী দেশটির পররাষ্ট্র সচিব। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের চাহিদার ভিত্তিতে উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।” দুই দেশের স্থলসীমান্ত সমস্যা সমাধানের বিষয়টি দেখিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সদিচ্ছা থাকলে সব সমস্যার সমাধান সক্ষম। উপ প্রেসসচিব নজরুল বলেন, “বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী কানেকটিভিটি এবং উন্নয়নের উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।” বৈঠকে সার্কের বিষয়টি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব তুললে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উই শুড নট লেট ইট ডাই ডাউন।” নজরুল বলেন, বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের (বিবিআইএন) মধ্যে যানবাহন চলাচলের জন্য চুক্তি বাস্তবায়নে আরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী।-বিডিনিউজ