মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
বাগমারা প্রতিনিধি
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ভারত এক ভঙ্ককর উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশকে পরাজিত করার জন্য হাসিনাকে সমর্থন করেছে। এখনও করছে। যে ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে দিক। কিন্তু শেখ হাসিনা যে মাঝেমধ্যে বক্তব্য রাখছে, এটাকি দিতে পারে? শেখ হাসিনার পাসর্পোট নেই, তার ভিসা নেই। ভিসাহীন একটি ব্যক্তি অপরাধী, সেই অপরাধী কী করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত থেকে কথা বলতে পারে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সভাপতি শহীদ অধ্যাপক আব্দুল ওয়াহেদ মণ্ডলের স্মরণসভায় তাহেরপুর হাইস্কুল মাঠে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ বলেন।
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেছেন, ‘বিএনপির উদারতার কারণে এদেশে রাজনীতি করার সুযোগ পেয়েছে। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিব জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিলো। কিন্তু আমরা বারবার দেখেছি তারা একটি জিনিস করতে পারে সেটা হলো মুনাফেকি।’
তিনি বলেন, আমরা এক সাথে আন্দোলন করলাম এরশাদের বিরুদ্ধে। হাসিনাও প্রথম দিকে ছিলেন। তার পরে কাউকে কিছু না বলে হাসিনাও এরশাদের অধিনে নির্বাচনে চলে গেলেন। বেগম জিয়া বলেছিলেন- এরশাদের অধিনে যাব না আমরা নির্বাচনে। আর হাসিনা এক লাফ দিয়ে বলেছিলেন যারা যাবে তারা ডাক পাবে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, এর যে ছাত্র জনতার রক্ত ঝড়া আন্দোলন। ওই দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আবু সাইদ সে বুক চিটিয়ে বুলেট বরণ করে নিয়ে আমাদের আন্দোলনের যে ইতিহাসের যে জয় ঘোষণা করেছেন। তারই অনুপ্রেরণায় ঢাকায় আমরা দেখেছি মুগ্ধকে, আমরা দেখেছি আহারাফকে, আমরা দেখেছি একের পর এক শিশু বাচ্চারা নিজের আত্মদানের মধ্যদিয়ে শেখ হসিনার মত এক ভঙ্কর দানবকে বাংলাদেশ থেকে বিরারিত করাল এই সাহসী বীররা। তার কয়েকদিন পর জামায়াত বলে বসলো- আমরা আওয়ামী লীগের সবকিছু মাফ করে দেব।
রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, এবার আপনি আবু সাইদের রক্ত কিভাবে মাফ করবেন? আপনি মুগ্ধের রক্ত কিভাবে মাফ করবেন? আপনি আহারাফের রক্ত কিভাবে মাফ করবেন? আপনি বলে দিলেন। যে ভারত এক ভঙ্ককর উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশকে পরাজিত করার জন্য হাসিনাকে সমর্থন করেছে। এখনও করছে। যে ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে দিক। কিন্তু শেখ হাসিনা যে মাঝেমধ্যে বক্তব্য রাখছে, এটাকি দিতে পারে। শেখ হাসিনার পাসর্পোট নেই, তার ভিসা নেই। ভিসাহীন একটি ব্যক্তি অপরাধি, সেই অপরাধি ব্যক্তি কি করে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত থেকে কথা বলতে পারে। অথচ ভারত তাকে সেই প্রশ্রয় দিচ্ছে। এখন ভারতের যদি কোন ক্রিমিনালকে বাংলাদেশ আশ্রয় দেয়, আর এখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে কোন কর্মকাণ্ড করে ভারত কি তখন ছেড়ে কথা বলবে?
তিনি বলেন, এই যে দাউদ ইব্রাহিম সন্ত্রাসীসহ যে সমস্ত সন্ত্রাসী ভারতের। তাদের সঙ্গে পাকিস্তানের যোগাযোগ আছে বলে এখন পর্যন্ত প্রতিদিন পাকিস্তানকে অভিযোগ করে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তারা নানা কথা বলে। আজকে যদি তাই হয়, তাহলে কেনো শেখ হাসিনা উষ্কানি দিচ্ছেন। এই ধরনের একজন অপরাধি যে শিশুর রক্ত খেয়েছে। গরিবের রক্ত খেয়েছে। নারীর রক্ত খেয়েছে। যে এই দেশের জনগণের রক্ত কুড়ে কুড়ে খেয়েছে। আপনি তাদেরকে আশ্রয় দিলেন। আর সেই ভারত যদি অত্যন্ত প্রিয় হয়ে যায়। তাহলে বন্ধুরা আমার এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্য। এটা অত্যন্ত দু:খজনক।
তাহেরপুর পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম বাবু’র সঞ্চালনায় এবং তাহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র আ.ন.ম. সামসুর রহমান মিন্টুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় বিএনপি রাজশাহীর স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক মো. সাইফুল ইসলাম মার্শাল, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটি রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, রাজশাহী মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এ্যাড. এরশাদ আলী ইশা, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক নজরুল হুদা, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি সামছাদ বেগম মিতালি, বাগমারা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডি.এম জিয়াাউর রহমান, বাগমারা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব অধ্যাপক কামাল হোসেন, ভবানীগঞ্জ পৌর বিএনপি সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক প্রমূখ।
এছাড়াও সাবেক এমপি জাহান পান্না, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তপু, দেবাশিষ রায়, বিএনপি নেতা সৈয়দ মহসিন, রোকনুজ্জামান আলম, রায়হানুল আলম রায়হান, রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন, বাগমারা বিএনপি নেতা অ্যাড. মনিরুজ্জামান রঞ্জুসহ রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।#