নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইদের শেষ মুহূর্তে কেনাকাটা সাধারণত জুতা-স্যান্ডেল। তাই এই মুহূর্তে রাজশাহীর বাজারে বেশ জমেছে কেনাকাটা। বিভিন্ন বয়সের ক্রেতারা আসছেন পছন্দের জুতা-স্যান্ডেল কিনতে।
ক্রেতারা বলছেন- ইদের সময়ে ব্যবসায়ীরা বড়দের মত দাম চান শিশুদের জুতা-স্যান্ডলের। এতে করে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় ক্রেতাদের। তবে বিক্রেতারা বলছেন- সব জিনিসের সঙ্গে জুতা-স্যান্ডেলের দামও বেড়েছে। তাদের মোকামে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। তাই সীমিত লাভ রেখে তারা বিক্রি করছেন।
নগরীতে বিভিন্ন ব্র্যান্ড ও ননব্র্যান্ডের দোকানে নানা রং, ডিজাইনের জুতা ক্রেতাদের কাছে প্রদর্শিত হচ্ছে। দোকানগুলো ঘূরে ক্রেতারা পছন্দ অনুযায়ী জুতা-স্যান্ডেল কিনছেন। এছাড়া বাজারে বিক্রেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও বেড়েছে অন্য সময়ের চেয়ে। ক্রেতাদের আকর্ষণ করার জন্য দোকানগুলো নানা ধরনের ছাড় ও অফার ঘোষণা করছে।
বিক্রেতারা বলছেন- এ বছর জুতার দাম সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রধান কারণ- উৎপাদন খরচ এবং আমদানি খরচের বৃদ্ধি। ইদের উৎসবের আনন্দে অংশ নিতে ক্রেতারা এই বাড়তি খরচ মেনে নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে ইদের আগে জুতার বাজারে চলছে জমজমাট কেনাবেচা।
স্যান্ডেল ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেন, ইদে প্রতিটি পণ্যেরই দাম বেড়েছে। শো-রুমগুলোতে বেশি দামের কারণে ঘুরে এসে নরমাল দোকানগুলোতে যাচ্ছেন অনেকেই। কিন্তু এখানেও স্বস্তি নেই। তবে যেহেতু ইদ। স্যান্ডেল তো কিনতেই হবে।
রাবেয়া খাতুন নামের এক ক্রেতা নিজের জন্য স্যান্ডেল কিনেছেন সাড়ে ৬০০ টাকায়। তার চার বছরের সন্তানের জন্য স্যান্ডেল কিনলেন ৫৪০ টাকায়। তিনি বলেন, তুলনামূলক তার চেয়ে তার সন্তানের স্যান্ডেলের দাম বেশি পড়েছে। বাজারে ইদের এই সময়ে ব্যবসায়ীরা সবকিছুর দাম ধরে।
স্যান্ডেল বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, ইদে প্রতিবছরই বেচাবিক্রি ভালো হয়। এবার একটু কম। রমজানের শেষ দিকে চলে আসায় সন্ধ্যার সময় অনেক ভিড় হয়। যেহেতু গ্রীষ্মকাল আসছে তাই কেডস এর চেয়ে সেন্ডেল বেশি বিক্রি হচ্ছে।