শেষ যাত্রা নাকি উৎসব! বাজনা বাজিয়ে দাদুর মরদেহ শ্মশানে নিয়ে গেলেন নাতিরা, কেন?

আপডেট: জানুয়ারি ১৪, ২০২৫, ১:৫৭ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


দাদুর মৃত্যুতে নাতি-নাতনিদের মধ্যে শোকের লেশ মাত্র নেই। উল্টে, রীতিমত ব্যান্ড বাজিয়ে শ্মশানে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হল! আনন্দ উৎসবের মেজাজে বিদায় জানানো হল দাদুকে। এমন নজির বিহীন ঘটনায় হতবাক পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার মাইশোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামসুন্দরপুর পাটনা গ্রামের বাসিন্দারা।

কেমন এমন কাণ্ড? ১০৪ বৃদ্ধ দেবেন্দ্রনাথ আদকের মৃত্যু হয়র বিবার রাতে। এত বয়সেও হাঁটাচলা করতে পারতেন তিনি। আকস্মিকবাবেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই দীর্ঘ জীবনের পর বৃদ্ধের মৃত্যুতে তাঁর বাড়ির আত্মীয় স্বজন ও নাতিপুতিরা শোকবিহ্বল হতে নারাজ। বরং আনন্দ উৎসাহের সঙ্গেই তাঁকে শ্মশানের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান দাহ করতে।

পরিবারে কোনও সদস্য বিয়োগের ঘটনা ঘটলে শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই শ্মশান যাত্রা এক্কেবারেই অন্যরকম। এক্ষেত্রে শতায়ু দেবেন্দ্র আদকের মৃত্যু তাঁর নিকট আত্মীয়দের কাছে দুঃখের নয়, আনন্দের। তাঁদের মতে, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জন্মেছিলেন দেবেন্দ্র আদক।

দেখেছেন স্বাধীনতার লড়াই, দেশের স্বাধীনতা, তারপর আরও অনেক কিছু। তিনি ছিলেন দেব দেবীর সেবক। নাতিপুতিরা পরিবারবর্গ তাঁর কাছ থেকে সবকিছু পেয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে।

দেবেন্দ্র আদকের এক নাতির কথায়, “আর কি চাই ওনার কাছ থেকে? উনি যা আমাদের দিয়ে গেলেন, আমরা পরিবারবর্গ নাতি পুতিরা সেই অর্থে তেমন কিছু ওনাকে দিতে পারিনি, অন্তত ওনার অন্তিম যাত্রায় হাসি মুখে বিদায় জানানোটা যাতে ভালভাবে উৎসর্গ করতে পারি, তাই এমন উৎসবের মেজাজে ঈশ্বর দেবেন্দ্রনাথকে বিদায় জানালাম।”
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version