শেয়ার পতনের জের, বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তি ফের খতিয়ে দেখতে আদানি গোষ্ঠীকে চিঠি বাংলাদেশের

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩, ৫:০৮ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


হু হু করে আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার পতনের জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে শেয়ার ব্যবসায়ীদের কপালে। আদানিদের একাধিক প্রকল্পের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে। এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশও। আগামী ২৫ বছর সে দেশে বিদ্যুৎ আমাদানির জন্য আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড। ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার মাধ্যমে তা বাংলাদেশে সরবরাহ করার কথা।

কিন্তু সাম্প্ররতিক পরিস্থিতিতে এই চুক্তি পুনর্বিবেচনা করার জন্য আদানি গোষ্ঠীকে চিঠি পাঠাল বাংলাদেশ।
আগামী ২৫ বছরের জন্য আদানি গোষ্ঠীর থেকে ১৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে হাসিনার সরকার। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে সেই কাজ হবে। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা এলাকায় কয়লা থেকে বিদ্যুৎ তৈরি হবে। সেখান থেকে বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হবে। এমনকী বাংলাদেশের বিদ্যুৎ মন্ত্রী নাসরুল হামিদ জানুয়ারির প্রথম দিকে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটি ঘুরেও গিয়েছেন। তিনিই গোটা বিষয়টির তদারকি করছেন।

কিন্তু গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি বদলেছে। আদানি গোষ্ঠীর শেয়ার পড়তেই ভারতীয় অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব দেখা দিয়েছে। বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির তকমা খোওয়াতে হয়েছে ভারতকে। এই পরিস্থিতিতে ভারতকে টপকে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতি হিসাবে উঠে এসেছে ফ্রান্স। এক ধাক্কায় ৩.২ ট্রিলিয়ন ডলার কমে গিয়েছে ভারতের বাজার মূলধন।

তবে এই পরিস্থিতিতেও আদানিদের দাবি একাধিক সংস্থায় ১০০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে তাদের। সেই সংস্থাগুলির ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। তাই আচমকা তাদের সম্পত্তি কমে যাওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু তাদের আশ্বাস সত্তে¡ও তৈরি হচ্ছে নানা আশঙ্কা।

বিপিডিবি-র পক্ষ থেকে আদানি গোষ্ঠীকে চিঠি পাঠানো হয়েছে এই মর্মে যে বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে তাদের চুক্তিপত্রটি পুনর্বিবেচনা করা হোক। কারণ, প্রতি টন কয়লার দাম হিসেবে আদানিরা দর হাঁকিয়েছিল ৪০০ ডলার। কিন্তু বিপিডিবি-র দাবি, এই দাম চড়া।

তা ২৫০ ডলারের কাছাকাছি হওয়ার কথা। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে বিভিন্ন জায়গা থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে বাংলাদেশের যা খরচ হয়, তার চেয়ে ঢের বেশি খরচ হবে আদানিদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনলে। ঝাড়খণ্ডের এই বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র থেকে ১৭০ কোটি ডলার খরচ হবে। আর সেই কারণেই এই চুক্তি প্রশ্নের মুখে।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন