শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে আ’লীগ দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছে : স্বপন

আপডেট: নভেম্বর ৪, ২০১৬, ১২:০১ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর জাতীয় চারনেতাকে হত্যা ছিল ইতিহাসের দ্বিতীয় কলঙ্কময় অধ্যায়। উদ্দেশ্য ছিল দেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যা করে দেশকে নেতৃত্বশূণ্য করে পাকিস্তানের অপশক্তিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমূলে ধ্বংস করা। সেই হীন চেষ্টা থেকেই দীর্ঘ ২১ বছর ধরে পাকিস্তানের অপশক্তিরা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের বিকৃতি, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার অস্তিত্বকে দেশ থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। আওয়ামী লীগ শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে দেশকে ঐক্যবদ্ধ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টায় নগর ও জেলা আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ অর্পণের পর সমাধিস্থলে আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। প্রধান অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক আব্দুছ ছাত্তার। সভায় বক্তব্য দেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শাহারিয়ার আলম এমপি, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী এমপি, রাজশাহী সদর আসনের সংরক্ষিত নারী এমপি আকতার জাহান, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ ও পবা মোহনপুর আসনের এমপি আয়েন উদ্দিন।
আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি বলেন, দেশের মূলে যা প্রোথিত তা কখনো মুছে ফেলা যায় না। এইজন্য হাজার ষড়যন্ত্র করেও আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে পারে নি পাকিস্তানি অপশক্তিরা। এই সময়ে দেশে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের মাধ্যমেই দেশ আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। এই সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার করেছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে, জাতীয় চারনেতার আত্মস্বীকৃত খুনিদেরও বিচার এই সরকার করবেই।
সভায় খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতাকে হত্যার উদ্দেশ্য ছিল দেশ থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমূলে ধ্বংস করা, পাকিস্তানি মৌলবাদী অপশক্তিকে দেশে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু তাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হয় নি। দীর্ঘসময় দেশ ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে গেছে, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতার ইতিহাস বিকৃতি করার চেষ্টা করা হয়েছে কিন্তু তারা সফল হতে পারে নি। দেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবার উঠে দাঁড়িয়েছে। উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলেছে। এই সরকারের আমলে জাতীয় চারনেতার বাকি খুনিদের দেশে এনে বিচার করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতেই জাতীয় চার নেতার আত্মস্বীকৃত খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করা হবে। এ জন্য বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। পলাতক খুনিরা ছাড় পাবে না। তাদের সাজা কার্যকরের মধ্যে দিয়ে জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা ছিল বাঙালি জাতির জীবনে প্রথম কলঙ্কজনক অধ্যায়। জেলহত্যা দিবস দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায়। ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্য ছিল, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিকে নিশ্চিহ্ন করা। কিন্তু তারা সফল হতে পারে নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার অসমাপ্ত স্বপ্œকে বাস্তবে রূপ দিতে দৃঢ় প্রত্যয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতার আত্মস্বীকৃত খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে ১৪ দল ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ের মধ্যেই বিচারের রায় কার্যকর করতে এ সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে। তারা সহযোগিতায়র আশ্বাস দিয়েছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ