শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় দখল নিয়ে বিএনপি-ছাত্রদল সংঘর্ষ

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ৯:০৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় দখল করা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের সাতজন আহত হয়। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করছে।

ঘটনাটি বাগমারা উপজেলার হামিরকুৎসা হাটের। হাটকে কেন্দ্র করে সেখানে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় গড়ে উঠে। এই কার্যালয় প্রায় ২৫ বছর থেকে আছে। সেখানে ট্রাকে মাল ওঠানো ও নামানোসহ নিয়ন্ত্রণ ও চাঁদাও নিত শ্রমিক নেতারা। এই শ্রমিক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতারাও সদস্য হিসেবে আছে।

হামিরকুৎসা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সুমন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কাউসার হোসেনসহ দলের ১০-১২ জন নেতাকর্মী ওই কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিতে যান। এতে সেখানে থাকা অন্যান্য নেতাদের সাথে বাকবিতণ্ডতা ও সংঘর্ষে জড়িয়ে যান। প্রতিপক্ষের হামলায় সংগঠনের সভাপতি আবদুর রশিদ শাহ আহত হন। খবরটি জানাজানি হলে উভয় পক্ষ হামিরকুৎসা বাজারে অবস্থান নেন। রাতে আবারও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদকের বাবা আবদুল মান্নান, ছাত্রদলের ইউনিয়ন শাখার সভাপতি সুমন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কাউছার হোসেন, যুবদলের কর্মী হান্নু রশিদসহ সাতজন আহত হন। রাতেই আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সোমবার দিনভর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলে।

ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ অভিযোগ করেন, হামিরকুৎসা বাজারে ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নামে দীর্ঘদিন ধরে চাঁদাবাজি চলে আসছে। ছাত্রদলের নেতাসহ তারা তা বন্ধ করতে গিয়েছিলেন। হামিরকুৎসা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেন শাহের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ, যুবলীগের লোকজন তাদের ওপর হামলা করেছেন। বিএনপি নেতা চাঁদাবাজির জন্য এটা করেছেন। তারা ওই নেতার অপসারণ চেয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির সভাপতি বেলাল হোসেন শাহ বলেন, ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কিছু নেতা শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় দখল করে সেখানে দলীয় কার্যালয় করতে চেয়েছিল। তারেক রহমানের নির্দেশের কথা মনে করিয়ে দিয়ে তাদের ফেরত যেতে বলেছিলাম। তবে তারা তা না শুনে হামলা করেছে।

বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তৌহিদুল ইসলাম জানান, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষ মামলা বা অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ