রবিবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সতর্ক-সজাগ থেকে প্রতিহত করতে হবে
স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশি-বিদেশি পরিকল্পনায় দেশে দুর্ভিক্ষ সংঘটিত করতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য মোটেও ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কেননা ১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের ষড়যন্ত্রের কথা আমরা জানি। ওই দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করা হয়েছিল দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে অংশ হিসেবেই। তবে এটাও ঠিক যে, ১৯৭৪ সালের বাংলাদেশ আর এখনকার বাংলাদেশের সময় ও প্রেক্ষিত এক নয়। বাংলাদেশ এখন অনেক বেশি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় আছে। অবশ্য ষড়যন্ত্র বলে কথা! এমন কোনো বিষয় হাল্কা করে দেখা সমীচীন নয়। শত্রু যখন ঘরের, তখন সতর্ক-সজাগ থাকাই উত্তম।
দ্বাদশ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনবিরোধী দেশি-বিদেশি তৎপরতা খুবই স্পষ্ট। ইতোমধ্যেই দেশে জ্বালাও-পোড়াও, ধ্বংসযঞ্জ, হত্যার মত ঘটনা ঘটেছে। এবং সেটা যে নির্বাচন বানচাল করার জন্য তা দেশের মানুষের কাছে স্পষ্ট প্রতীয়মান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার গোপালগঞ্জ সফরের দ্বিতীয় দিনে নিজ নির্বাচনি এলাকা কোটালীপাড়ায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছেন, ‘সামনে নির্বাচন। বিএনপি চিন্তা করেছিল নির্বাচন হবে না। এখন নির্বাচন হয়ে যাচ্ছে। একসময় বলেছিল নির্বাচন হতে দেবে না। উসকানি আছে নির্বাচন ঠেকাও। নির্বাচনের শিডিউল হয়ে গেছে। এখন তারা মনে করছে নির্বাচন হয়েই যাবে। তাই তারা মার্চের দিকে দেশে দুর্ভিক্ষ ঘটাবে। এটা হচ্ছে তাদের পরবর্তী পরিকল্পনা। এটা শুধু দেশের নয়, বাইরের দেশেরও পরিকল্পনা। যেভাবেই হোক দুর্ভিক্ষ ঘটাতে হবে।’
এবারে আমনের ফলন বেশ আশাব্যঞ্জক- তারপরেও দুর্ভিক্ষ হবে? অস্বাভাবিক কিছু নয়। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি খুব বেশি সক্রিয় এখন। তারা সংগঠিত হচ্ছে- দেশি-বিদেশি আশ্রয়-প্রশ্রয়ও পাচ্ছে। সিন্ডিকেশন বলে কথা! দেশের সব মানুষই এই সিন্ডিকেশনের ভুক্তভোগি। নিত্য-প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দাম সিন্ডিকেশন করে বাড়িয়ে দেয়া হয়, বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়। সাধারণ মানুষের অসহায়ত্ব বাড়ে। চলতি বছর এমন সিন্ডিকেশনের বেশ কয়েকটি ঘটনা আছেÑ যদ্বারা দেশের মানুষকে নাকাল হতে হয়েছে। খাদ্য নিয়ে এমন ধরনের সিন্ডিকেশন যে হবে না তা বলা যায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি সে ধরনের আভাস পেয়ে থাকেন তা হলে এখন থেকেই সতর্কাবস্থায় থাকা জরুরিÑ যাতে করে খাদ্যপণ্যের বাজার চক্রান্তকারীরা কোনোভাবেই প্রভাবিত করতে না পারে।