শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহীর সমন্বয়ক দাবি করে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল রানাকে পিটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ছাত্রদলকে দায়ী করে গণমাধ্যমে দেয়া সোহেলের বক্তব্যকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করছে ছাত্রদল।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল। এসময় সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নগরীর কালেক্টরেট মাঠ এবং মাদ্রাসা ময়দান এলাকায় সোহেল রানাকে দুই দফা মারধর করা হয়। পরে হাসপাতালে এসে ভর্তি হওয়ার পর ছাত্রদলকে দায়ী করে বক্তব্য দেন তিনি।
তার এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রাজশাহী নগর ছাত্রদল। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি। তিনি বলেন, এখন কেউ কেউ ভুয়া সমন্বয়ক সেজে নিজের স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে জাসদ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা নিজেকে সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করে রাজশাহী কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিতর্কিত কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। সে নিজেকে সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করলেও স্পষ্টত সে জাসদ ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতা।
তিনি আরও বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক ভূয়া কেন্দ্রীয় সমন্বয়ককে দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহী সমন্বয়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সে ঘটনায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে চিহ্নিত জাসদ ছাত্রলীগ নেতা সোহেল রানা রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের নামে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন কুৎসা রটনা করেন, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ফলাও করে প্রচারিত হয়। অথচ ছাত্রদলের কোনো নেতা-কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
ছাত্রদলের সুনাম ও ঐতিহ্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে এমন ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক ঘটনায় ছাত্রদলকে জড়ানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ, ছাত্রদল নেতা সুলতান আহমেদ রাহি, আদিউল ইসলাম সজিব, মাহমুদুল হাসান লিমন, রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক খালিদ বিন ওয়ালিদ আবির, সদস্যসচিব আহমেদ রায়হান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজশাহীতে কোনো সমন্বয়ক পরিষদ গঠিত হয় নি। তবে রাজশাহী কলেজের যেসব শিক্ষার্থী এই আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকেছেন তাদের কেউ কেউ নিজেকে ‘রাজশাহীর সমন্বয়ক’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে থাকেন। এটিকে পুঁজি করে সোহেল চাঁদাবাজিসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।