সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
গোমস্তাপুর ( চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি:চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নে পুকুরে মাছ ধরা কেন্দ্র করে সৃষ্ট জটিলতায় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে রহনপুরস্থ একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনে অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আসামী উমর আলীর স্ত্রী আরমানি বেগম। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন নিকটাত্মীয় টিয়ারা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরমানি বেগম বলেন, কিছুদিন আগে উপজেলার চৌডালা ইউনিয়নের জনৈক আনারুল ইসলাম গোমস্তাপুর থানায় তাঁর স্বামী উমর আলীসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগ করে। এই অভিযোগের তদন্তে গিয়ে গোমস্তাপুর থানার উপপরিদর্শক (সাব-ইন্সপেক্টর) নজরুল ইসলাম আমার স্বামীর নিকট দুই দফায় ২০ হাজার টাকা আদায় করে। পরবর্তীতে ওই সাব ইন্সপেক্টর তাঁর স্বামীর কাছে আরও টাকা চাইলে সে অপারগতা প্রকাশ করায় তিনি আনারুলের বন্ধু আজিজকে দিয়ে গোমস্তাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করান। এই মামলায় তাঁর স্বামীসহ বেশ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার সাব-ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম তাঁর বাড়িতে এসে কোন পুরুষ মানুষ না পেয়ে মহিলাদের সাথে অত্যন্ত খারাপ আচরণ করেন। তিনি গালিগালাজ করে বলেন, উমরকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গ্রেফতার করা হবে। আরমানী বেগম এই মামলাকে মিথ্যা বলে দাবী করেন। তিনি সুবিচারের আশায় সংবাদ সম্মেলন করছেন বলে সাংবাদিকদের জানান।
এ প্রসঙ্গে উপপরিদর্শক নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি টাকা গ্রহণের বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন,তিনি বাদীর মাধ্যমে মামলা পেয়েছেন তাই তিনি তদন্ত করছেন।আসামিদের অভিযোগ মিথ্যা বলে তিনি দাবি করেন।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চৌধুরী জোবায়ের আহমেদ বলেন,আসামিপক্ষ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে হয়তো বিষয়টি নিয়ে তিনি সাব ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলামের সাথে কথা বলতে পারতাম । তবে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিয়ে যাচাই-বাছাই করবেন বলে জানান।