সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায়ে দুই আসামির যাবজ্জীবন

আপডেট: মার্চ ১৩, ২০২৪, ২:০২ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :৩৫ বছর আগে পারিবারিক দ্বন্দ্বে গৃহবধু সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যার মামলায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার তৃতীয় বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আলী হোসাইন বুধবার (১৩ মার্চ) বহুল আলোচিত এ হত্যা মামলার রায়ে বাকি তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন।

দণ্ডিত দুই আসামি হলো- আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং মারুফ রেজা। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামীদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

আসামীদের হাজতকালীন মেয়াদ সাজা থেকে বাদ যাবে বলে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানিয়েছেন।
অপরাধে সম্পৃক্ততা প্রমাণিত না হলে এ মামলার অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়েছেন নিহত সগিরার ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী (৭১), তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন (৬৫) এবং মন্টু মণ্ডল ওরফে মিন্টু।

আসামিদের মধ্যে কারাগারে থাকা আনাস মাহমুদ ও মারুফ রেজাকে এদিন রায় প্রদান কালে কারাগারে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা বাকি তিন আসামিও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে দুই আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আসামি মন্টু মণ্ডল বাদে বাকি দুই আসামির খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে বাদিপক্ষ উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ।
দীর্ঘ বিচারে এ মামলার ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আলোচিত মামলাটি রায়ের পর্যায়ে আসে। এরপর দু’দফা পিছিয়ে বুধবার রায় দেন আদালত।

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সগিরা মোর্শেদ রাজধানীর বেইলি রোডের ভিকারুননিসা নূন স্কুল থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে সারাহাত সালমাকে আনতে যান। সিদ্ধেশ্বরী রোডে মোটরবাইকে আসা আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন।
ওই দিনই সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী রমনা থানায় অজ্ঞাতনামাদেরে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। হত্যা ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ছিনতাইয়ে জড়িত হিসেবে মন্টু ও মারুফ রেজাকে শনাক্ত করেনর। তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

বেইলি রোডের বাসিন্দা মারুফ রেজা আবাসন ব্যবসায়ী। তিনি এরশাদ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদুল হাসানের ভাগ্নে।
ওই সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হলেও শেষ পর্যন্ত তার নাম বাদ দিয়েই চার্জশিট দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
১৯৯১-এর ১৭ জানুয়ারি আসামি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দীক। সাক্ষ্য নেয়া হয় ৭ জনের।

সাক্ষ্য চলার সময় মারুফ রেজার প্রসঙ্গ সামনে আসলে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ১৯৯১-এর ২৩ মে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেনর ঢাকার জজ আদালত।
মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ১৮ জন সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষ থেকে কোনো সাফাই সাক্ষ্য দেওয়া হয়নি।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ