সন্তানকামনায় অপেক্ষা আট বছর, জন্মের পরেই ডুবিয়ে হত্যা মায়ের

আপডেট: অক্টোবর ২৬, ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


আট বছর পর হয়েছে প্রথম সন্তান। অনেক সাধ্য সাধনার ফলে হয়েছে। মা দিনরাত প্রার্থনা করতেন সন্তান কামনায়। ভুগতেন মানসিক অবসাদে। সেই থেকে ডুবিয়ে মারলেন সদ্য জন্মানো শিশুসন্তানকে। ঘটনাটি ঘটেছে রাজস্থানে।

রাজস্থানের এক গ্রামে ওই দম্পতি বিয়ে করেছিলেন আট বছর আগে। বহু চেষ্টার পর অক্টোবরের শুরুর দিকে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন নারী। বৃহস্পতিবার থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না শিশুটির। সন্তানের মাও বারবার অজ্ঞান হয়ে পড়ছিলেন। পরে দেখা যায় বাড়ির ট্যাংকের ঢাকনা খোলা। সেখান থেকেই উদ্ধার হয় ২০ দিনের ওই শিশুটির দেহ।

খবর যায় পুলিশে। প্রথমে ধারণা করা হয়েছিল অজ্ঞাত পরিচয় কেউ বাচ্চাটিকে ফেলে দিয়েছে। পরে তদন্তে উঠে আসে বাচ্চাটির মা সুমন সাইনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। পুলিশ ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

শিশুটির কাকা পুলিশকে জানান, মঙ্গলবার রাতের খাবার খেয়ে সবাই ঘুমাতে যান। বাড়িতে শিশুটির মা, তাঁর বোন এবং দিদা ছিল। শিশুটি দিদার পাশে শুয়েছিল। হঠাৎই মধ্যরাতের পর থেকে শিশুটি খাট থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরিবারের লোকজন তাঁকে খুঁজতে থাকে।

তারা খেয়াল করেন, তাদের বাড়ি সংলগ্ন বাইরে জলের ট্যাংকের ঢাকনা খোলা। ভেতরে গিয়ে শিশুটিকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। জানা গিয়েছে, শিশুটির বাবা কৃষ্ণ কুমার রাজস্থানের রতনগড়ে ফায়ার ব্রিগেডে কাজ করেন।

তিনি পুলিশকে জানান, মৃত ব্যক্তিটি তাদের প্রথম সন্তান, গত আট বছর ধরে বেশ কয়েকজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করার পরেই বাচ্চাটি হয়েছিল। বাচ্চাটির মা সন্তানকামনায় অসংখ্য মন্দিরে প্রার্থনা করতেন। সেই থেকেই ভুগতে শুরু করেছিলেন অবসাদে। তা থেকে এমন কাণ্ড ঘটাবেন ভাবতে পারেননি।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন