সবজিতে স্বস্তি, মাছে অস্বস্তি

আপডেট: আগস্ট ৩০, ২০২৪, ৮:৩১ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক: 
রাজশাহীর বাজারে কয়েকদিন থেকে কমেছে সবজির দাম। বেড়েছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও ডিমের দাম। একই সাথে কমেছে কাঁচামরিচের দাম। স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি, গরু, খাসির মাংস, মাছ ও চালের দাম।



শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিন বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা কেজি। যা আগের সপ্তাহে ছিল ২২০ টাকা কেজি। এছাড়াও দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজিতে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজিতে। এছাড়াও আলু ৫৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে শিম, গাজর ও টমেটো ছাড়া প্রায় সবজি ৪০-৭০ টাকায় নেমেছে। এই সপ্তাহে বেগুনের কেজি ৫০ টাকা, করলা ৪, পটোল, ঢ্যাঁড়স, ধুন্দুল, ঝিঙা ৩০-৪০ টাকা। মুলা, পেঁপে ৪০, শসা ৮০, বরবটি, কচুর মুখি ৬০-৭০ টাকা কেজি। টমেটো, গাজরের কেজি ১৩০-১৫০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, চালকুমড়া ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০, চিচিঙ্গা ৪০, ঢেঁড়স ৪০, পুঁইশাক ৪০ টাকা, লাল শাক ৬০ টাকায় বিক্রি হতয়েছে। পালং ও পাটশাক ১০-১৫ টাকা আঁটি।

সাহেববাজারের সবজি বিক্রেতা আলআমিন বলেন, সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সবজির দাম কেজিতে কমেছে ১০-২০ টাকা। তাই এই সপ্তাহে কম দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার বলে বাজারে সবজির গ্রাহকও ভালো। আমার খুব তাড়াতাড়ি সবজি শেষ হয়ে গেছে।
নগরীর মুদি দোকানিরা জানান, আদার কেজি ২৮০-৩০০ টাকা ও রসুন ২০০-২৩০ টাকা কেজি, মসুর ডাল ১২৫-১৩৫, ছোলা ১১০-১১৫, এক লিটার সয়াবিন তেল ১৬৫ ও পাঁচ লিটার ৮০০-৮১০, চিনির কেজি ১৩০-১৩৫ ও দেশি লাল চিনি ১৬০-১৭০ টাকায় বিক্রি করা হয়। তবে চালের দাম কমেনি বলে জানিয়েছেন দোকানিরা।

বিক্রেতারা বলছেন, আগের মতোই বর্তমানে নাজিরশাইল চালের কেজি ৭৮ টাকা, মিনিকেট ৭০-৭২ টাকা, আটাশ চাল ৫৫-৫৮ টাকা ও মোটা চাল ৫২-৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আগের সপ্তাহের মতো বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৬০ টাকা, সোনালি ২৩০ টাকা ও দেশি মুরগির কেজি ৫০০-৫৫০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়া পাতিহাঁস ৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ ও খাসির মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হয়।

মাছ ও মাংসের দাম আগের মতো থাকলেও ডিমের দাম বাড়তি বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন। এই সপ্তাহে সাদা ডিম বিক্রি হয়েছে ৪৬ টাকা হালি। আর লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালি।
গত কয়েক সপ্তাহ থেকে মাছের বাজার বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। মাছের দাম কমেনি। ইলিশের দামের ব্যাপারে বিক্রেতারা বলছেন, অন্য বছরের চেয়ে এবার ইলিশের সরবরাহ কম। এ জন্য দাম কমছে না। মাছ বিক্রেতা শুকুর আলী বলেন, গত সপ্তাহের মতোই এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা ও এক কেজির কম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়।

আগের মতোই রুই, কাতলা আকার ভেদে ৩০০-৬৫০ টাকা কেজি, চিংড়ি ৫০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা কেজি। ট্যাংরা ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কাচকি, মলা মাছ ৫০০-৭০০, তেলাপিয়া ১৮০-২৫০, শিং মাছ ৫০০-৭০০, মাগুর ৬০০ ও কই মাছ ৪০০-৬০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫০০ টাকা, সিলভার ২৫০-৩০০ টাকা, পাঙ্গাস ৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।