বৃহস্পতিবার, ৮ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
নগরীর বাজারগুলোতে শীতকালীন সবজি বিক্রি হতে শুরু করেছে। তবে সবজির দাম চড়া। এদিকে বাজারে বৃদ্ধি পেয়েছে আলু ও শসার দাম। তবে সরবরাহ ভালো থাকায় স্বাভাবিক রয়েছে অধিকাংশ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম।
গতকাল শুক্রবার নগরীর সাহেববাজার মাস্টারপাড়ার সবজি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, এ সপ্তাহে বাজারে শীতকালীন নতুন সবজিসহ দু’একটা পণ্যের দাম বেশি। হলেও কিন্তু সরবরাহ ভালো থাকায় বেশ কিছু পণ্যের দাম রয়েছে মানুষের নাগালের মধ্যে। দাম বৃদ্ধি পাওয়া পণ্যের মধ্যে রয়েছে আলু এবং শসা আর বাজারে নতুন পণ্য হিসেবে বেশি দামে বিক্রি হওয়া পণ্যের তালিকায় রয়েছে টমেটো, শিম ও জলপাই। অপরদিকে দাম হ্রাস পাওয়া সবজির তালিকায় রয়েছে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, পটল, আদা, লাল শাক, সবুজ শাক। অন্যদিকে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, কল্লা, মিষ্টি কুমড়া, চাল কুমড়া, লাউ, পিঁয়াজ, রসুন, লেবু, ওল, ধনে পাতা, ঝিংগা, ডুমুর, ঢেঁড়শ প্রভৃতি।
সবজি ব্যবসায়ী শাহিন বলেন, বাজারে গতকাল আলু প্রতি কেজি ২২ টাকা থেকে ২৪ টাকা দরে বিক্রি হয়। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল প্রতিকেজি ১৮ টাকা থেকে ২০ টাকা দরে। ফুল কপি ও বাঁধা কপি গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হলেও গতকাল তা বিক্রি হয় প্রতিকেজি ৪০ টাকা দরে। পটল গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হলেও গতকাল তা বিক্রি হয়, প্রতিকেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা দওে। শশা গতকাল বিক্রি হয় প্রতিকেজি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা দরে যা গত সপ্তাহে প্রতিকেজি বিক্রি হয় ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা দরে। লাল শাক ও সবুজ শাক গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও গতকাল তা বিক্রি হয় প্রতিকেজি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা দরে। গত সপ্তাহের ন্যায় গতকালও প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া বিক্রি হয় ৪০ টাকা, করল্লা ৬০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা, চাল কুমড়া ২০ টাকা, পিঁয়াজ দেশি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা আর বিদেশি ২০ টাকা, রসুন দেশি ১৬০ টাকা আর বিদেশি ১৮০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা, ওল ৩০ টাকা, ধনে পাতা ৩০০ টাকা, ঝিংগা ২৫ টাকা, ডুমর ৩০ টাকা, ঢেঁড়শ ৪০ টাকা দরে।
নগরীর সাহেববাজারের সুশিল স্টোরের মুদি ব্যাবসায়ী সুশিল বলেন, বুটের ডাল (অস্ট্রেলিয়া) প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে, আর দেশি প্রতিকেজি ১২০ টাকা দরে এবং দেশি মসুরের ডাল ও কালাই ডাল প্রতিকেজি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়। সোনা মুগ ডাল প্রতিকেজি ১১০ টাকা আর মোটা মুগ ডাল ৮০ টাকা প্রতিকেজি, ছোলা প্রতিকেজি ৮৮ টাকা, প্রতিকেজি খেসারির ডাল ৮০ টাকা, এ্যাংকার ডাল ৫৪ টাকা, দেশি মটর ১৪০ টাকা। এছাড়াও দেশি ও বিদেশি চিনি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা দরে। তবে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়ে গতকাল প্রতিলিটার খোলা সয়াবিন তেল প্রতিলিটার ৮৪ টাকা আর বোতলজাত ১০০ টাকা দরে বিক্রি হয়।
এদিকে দারচিনি ৩০ টাকা ‘শ, এলাচ ২০০ টাকা ‘শ, কালো এলাচ ৩০০ টাকা ‘শ, গোল মরিচ ১২০ টাকা ‘শ এবং লং বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা ‘শ দরে।
অন্যদিকে মাংশের বাজারে গিয়ে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল বাজারে মাংশের দাম বৃদ্ধি পায় নি। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাশির মাংশ।
বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা থেকে ৪২০ টাকা দরে আর প্রতিকেজি খাশির মাংশ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা দরে। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১২০ টাকা থেকে ১৪০ দরে, সোনালী মুরগি প্রতিকেজি ১৯০ টাকা থেকে ২১০ টাকা আর লেয়ার মুরগি ১৬০ টাকা থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও মুরগির সাদা ডিম প্রতিহালি বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা থেকে ৩২ টাকা আর লাল ডিম ৩০ টাকা থেকে ৩৪ টাকা দরে।