সবার জন্য বাসযোগ্য নগরীর দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০২৪, ৯:১৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


নগরের দরিদ্র ও ভূমিহীন প্রান্তিক মানুষের আবাসন, বিদ্যুৎ, পানি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করে সবার জন্য বসবাসযোগ্য নগরীর দাবিতে রাজশাহীতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টা থেকে নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

দরিদ্র মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন কমিটি, রাজশাহীর উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিক, বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরাম ও সবুজ সংহতি আয়োজিত এই মানববন্ধন শেষে একই দাবিতে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তরা বলেন- রাজশাহীতে নানান সময়ে উন্নয়ন কাজ হয়েছে। কিন্তু এই শহরের বস্তিবাসী এবং ভূমিহীন প্রান্তিক মানুষের জন্য তেমন কোনো স্থায়ী উন্নয়ন করা হয়নি। বস্তি শুমারির ২০১৪’র তথ্য অনুযায়ী রাজশাহীতে ছোট বড় মিলে বস্তির সংখ্যা ১০৪টি। রাজশাহী শহরে প্রায় ৮০ দয়মিক ৫৫ শতাংশ খানা সরকারি জমিতে ঝুপড়ি বা ছোট টিনের ঘরে বসবাস করে। আর দেশের অন্য নগরের মতো রাজশাহীতেও দিন দিনে বস্তির স্যংখা বাড়ছে। অথচ এই নগরের বস্তিবাসী এবং ভূমিহীন প্রান্তিক মানুষের জন্য কোনো উন্নয়ন আজও চোখে পড়ার মতো নেই।

এ সময় বহরমপুর বস্তিবাসী মতিয়ার বলেন, তারা ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করেন। ঘরে আলো নেই, পানি নেই। এর ওপর যখন তখন উচ্ছেদের ভয়ে থাকতে হয়, তারা তাদের নাগরিক অধিকার দাবি করেন।

বুধপাড়ার বস্তিবাসী জাহেদা খাতুন বলেন, তাদের ঘর নেই, তাদের আবাসন সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হলেও আজও তা মেলেনি।

বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি শাইখ তাসনীম জামাল বলেন, শহরের যুবকদের কোনো কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হয়নি। তাই রাজশাহীতে বেকারত্বের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

মানবাধিকার কর্মী রুখসান মোহাম্মদ বলেন, আইনগুলো প্রান্তিক মানুষবান্ধব নয়, তাই নেসকোর আইন, ওয়াসার আইনগুলো পরিবর্তন করতে হবে।

রাজশাহী সবুজ সংহতির সদস্য সচিব নাজমুল হোসেন রাজু বলেন, এই শহরে উন্নয়ন শুধু বড় লোকদের জন্য হয়েছে। গরীব মানুষের জন্য কোনো উন্নয়ন হয়নি। তাদের আবাসন, বিদ্যুৎ এবং পানির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

হেতেম থাঁ হরিজন পল্লীর জয়দেব কুমার বলেন, তাদের হরিজনদের পেশাগুলো দখল করে নিয়েছে অন্যরা। তারা হয়েছেন বেকার। তাদের স্বাস্থ্য সেবাগুলোও বাড়াতে হবে।

মানববন্ধন কর্মসূচি চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন নগর দরিদ্র মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক খোরসেদ আলম। সঞ্চালনা করেন বারসিক’র গবেষক শহিদুল ইসলাম।

এছাড়া নগর দরিদ্র মানুষের অধিকার বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক খোরশেদ আলমসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

মানবন্ধন কর্মসূচি শেষে অংশগ্রহণকারীরা রাজশাহী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) মাধ্যমে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version