সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে তরুণদের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রশংসণীয় || ব্রতীর গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

আপডেট: জানুয়ারি ২৮, ২০১৭, ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক



সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তন তথা সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে তরুনদের ভূমিকা ইতিবাচক। এর জন্য সমাজিক পরিবর্তনের পাশাপাশি প্রয়োজন মানসিক অবস্থার ইতিবাচক পরিবর্তন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ব্রতীর প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা ও সভায় অংশগ্রহণকারিদের বক্তব্যে এ সকল বিষয় উঠে আসে।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ব্রতীর উদ্যোগে ইউকে এইড এর অর্থায়নে কমিউনিটি লিগ্যাল সার্ভিসেস প্রোগামের সহায়তায় ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আইনে প্রবেশাধিকার নিশ্চিতকরণে ব্রতীর ভূমিকা ও অর্জন বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক গতকাল শুক্রবার রাজশাহীস্থ এসকেফুড ওয়ার্ল্ড চইনিজ রেস্টুরেন্টের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। ব্রতীর প্রধান নির্বাহী এবং আইনি সেবা প্রকল্পের টীম লিডার শারমীন মুরশিদের সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে ছিলেন, দৈনিক সোনার দেশ এর নির্বাহী সম্পাদক আকবারুল হাসান মিল্লাত এবং বাসস রাজশাহীর সিনিয়র রিপোর্টার আইনুল হক।
ব্রতী জানুযারি-১৫ হতে ডিসেম্বর ২০১৬ পর্যন্ত তার বাস্তবায়িত আইনি সেবা প্রকল্পের মাধ্যমে প্রান্তিক, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী, নির্যাতিত নারী ও শিশুর ন্যায়বিচার নিশ্চিত তথা সবার জন্য যথাসময়ে আইনে প্রবেশাধিকারের মাধ্যমে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় সভায় ব্রতীর কার্যক্রম বিষয়ে উপস্থাপনা করা হয়। উপস্থাপনায় জানানো হয় আইনি সেবা প্রকল্পের মাধ্যমে বিগত দুবছরে ৪৭৫ জনকে মামলায় সহায়তা, সহ¯্রাধিক মানুষকে আইনি পরামর্শ এবং লক্ষাধিক মানুষকে আইনি বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করা হয়।
রাজশাহী ও নওগাঁ জেলার ২৮টি ইউনিয়নের ১৪০টি গ্রামের ১৪০০ জন তরুণ-তরুণী সংগঠিত হয়ে নিজ নিজ গ্রামে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান এবং মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। তারা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, ঝড়ে পড়া শিশুর অধিকার ও পরিবেশ সুরক্ষা, নারী, আদিবাসী ও নির্যাতীতদের আইনি অধিকার প্রাপ্তি, মাদকমুক্ত পরিবেশ গঠনে কাজ করে যাচ্ছে।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারিরা নারীর অধিকার সুরক্ষায় ব্রতীর কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। তরুণদের অঙ্গিকার ইাতবাচক সমাজ গঠণে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে তারা মনে করেন। এছাড়া প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ন্যায়বিচার প্রাপ্তিতে গণমাধ্যমের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির চর্চা অব্যাহত থাকবে বলে গণমাধ্যম প্রতিনিধিবৃন্দ জানান।  আলোচকবৃন্দ বক্তব্যে অধিকার আদায়ে ব্রতীর তরুণরা যে ভূমিকা রেখে চলেছে তা ধরে রাখার এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তণে কার্যকর যোগেযোগের উপর অধিক গুরুত্বারোপ করেন।
সভাপতি তার বক্তব্যে এমন একটি সমাজ গঠনের প্রত্যাশা করনে যেখানে কেউ ন্যায়বিচার হতে বঞ্চিত না হয় এর জন্য তিনি গণমাধ্যমের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করেন।