সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শফিকুল ইসলাম বলেছেন, মাদকসেবিরা সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হলেও অভিভাবকরা তাদের পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করেন। আর এভাবেই তারা ধীরে ধীরে পরিচয়হীন হয়ে পড়ে। মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা ও পুনর্বাসনে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আরএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া মিঠুর মোড় এলাকার আপস অফিস প্রাঙ্গণে আসক্ত পুর্নবাসন কেন্দ্রের আয়োজনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শফিকুল ইসলাম বলেন, রাজশাহী মাদকাসক্তদের পুর্নবাসন এবং মাদকসেবন ও বিক্রি বন্ধে একটি রোল মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে। আর এই মডেল অনুযায়ী সারা দেশে এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই মডেলকে ধরে রাখার জন্য তিনি রাজশাহীবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, এ পর্যন্ত ৩০০ মাদকসেবি ও ব্যবসায়ীদের মাদক সেবন ও ব্যবসা বন্ধ করে পুর্নবাসন করা হয়েছে। তাদের সংসার পরিচালনার জন্য ভ্যান, সেলাই মেশিন, ছোট দোকান ও নগদ অর্থ প্রদান করা করা হয়েছে। একইসঙ্গে রাজশাহী জজ কোর্টের অ্যাডভোকেটদের সঙ্গে আলোচনা করে তাদের মামলা বিনামূল্যে পরিচালনা করার ব্যবস্থা করে দিয়েছেনও তিনি। এছাড়া তিনি অনেক মাদকসেবির চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য অর্থ সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রেখেছেন।
শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, মাদকসেবি ও বিক্রেতারা সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার পর সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। যেখানেই জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদক সেখানেই প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনীসহ জনগণের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। একজন মাদকসেবি একটি পরিবারের বোঝা উল্লেখ করে তিনি সন্তানদের দিকে নজর রাখার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ প্রদান করেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন, আপস এর নির্বাহী পরিচালক আবুল বাসার। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আরএমপি (সদর) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শিরিন আক্তার জাহান, আরএমপির মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আিধদপ্তরের উপ-পরিচালক লুৎফর রহমান, রাজপাড়া থানা অফিসার্স ইনচার্জ আমানুল্লাহ সরকার আমানসহ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও রিকভারী মাদকসেবিরা।
আপস মাদকাসক্ত পুর্নবাসন কেন্দ্রে পুলিশ বিভাগের খরচে পাঁচজন মাদকসেবি চিকিৎসা নিচ্ছে