সমুদ্রের পরিবেশকে নতুন মাত্রা দিল তিমি, অবাক হলেন বিজ্ঞানীরা

আপডেট: মে ১, ২০২৫, ৫:৫১ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক:


গভীর সমুদ্রের প্রাণীদের মধ্যে তিমির জীবন নিয়ে বিজ্ঞানীদের গবেষণার শেষ নেই। আর এবার তাদের হাতে এল চমকপ্রদ তথ্য। সমুদ্রের গভীরে থাকা এই প্রাণীর প্রস্রাব যে অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রে বিরাট কাজ করছে সেইকথা এবার জানিয়ে দিলেন বিজ্ঞানীরা।

এর আগে থেকে দেখা গিয়েছে তিমি জলের মধ্যে থাকা এমন একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী যে সমু্দ্েরর পরিবেশকে অনেকটা বজায় রাখে। তবে তিমি মাছ জলের নিচে যে প্রসাব করে তা সমুদ্রের জলে বিশেষ ধরণের টক্সিন তৈরি করে। এই টক্সিন থেকে সমুদ্রের নিচে থাকা গাছগুলি প্রোটিন পায়। এই প্রসাবে আয়রণ বা লোহার পরিমান অনেকটা বেশি থাকে। অন্য কোনও প্রাণীদর প্রস্রাব থেকে এত আয়রণ মেলে না।

গ্রে তিমির প্রসাব থেকে জলের নিচে নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং লোহার পরিমান বাড়। এগুলি অন্য প্রাণীরা নিজেদের কাজে ব্যবহার করে থাকে। জলের নিচে থাকা প্রচুর ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া এর থেকে ধ্বংস হয়ে যায়। এমনকি তিমির গায়ে লেগে থাকা ছোটো মাছেরাও এই প্রসাবের প্রোটিনকে নিজেদের দেহে নিয়ে নেয়।

সম্প্রতি নেচার পত্রিকাতে একটি লেখা প্রকাশিত হয়েছে। সেখান থেকে দেখা গিয়েছে কয়েকটি বিশেষ প্রজাতির তিমি মাছ প্রতিদিন ৯৫০ লিটার প্রসাব নিজেদের দেহ থেকে বের করে। নিজেদের হারিয়ে যাওয়া রাস্তা খোঁজার কাজে এই বিপুল পরিমান প্রসাবকে তারা কাজে লাগায়। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে তিমি যে অবলীলায় ঘুরতে পারে তার অন্যতম কারণ এই বিপুল পরিমান প্রসাব।

গরম জলে তিমি সন্তান দিতে পারে না। তাই তারা দীর্ঘপথ অতিক্রম করে শীতের মেরুতে গিয়ে সন্তানকে জন্ম দিয়ে থাকে। তারপর সেখান থেকে তাকে সঙ্গে করে নিয়ে ফের একবার ফিরে আসে গরম সমুদ্রে। এই বিরাট কাজে তাকে সহায়তা করে তার প্রসাব। কোনপথে সে নিজের রাস্তা তৈরি করে এবং কোনপথে সে ফিরবে তারও হিসেব দিয়ে দেয় এই প্রসাব।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ