সম্পর্কে আকছার প্রতারণা-ডিভোর্স, পেঙ্গুইনদের ‘লাভ লাইফ’-এর সব সত্যি এল সামনে

আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২৫, ৫:১৮ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


বরফের মধ্যে ধীরে ধীরে, হেলেদুলে হেঁটে চলেছে তারা। সারিসারি। বেশিরভাগ সময় সঙ্গীদের সঙ্গেই দেখা যায় তাদের। কিন্তু সঙ্গীদের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন জানেন?

পেঙ্গুইনদের সম্পর্ক, আর তাতেও নাকি রয়েছে প্রতারণা, বিচ্ছেদ! সাম্প্রতিক সময়ের তথ্য, দাম্পত্য টিকিয়ে রাখা বড় সমস্যা দম্পতিগুলির মধ্যে। অনেক সময় সম্পর্কে ভাঙনের অন্যতম কারণ প্রতারণা। সমীক্ষার তথ্য, শুধু মানুষের মধ্যে নয়, সম্পর্কে প্রতারণা, বিচ্ছেদ আকছার ঘটছে পেঙ্গুইনদের মধ্যেও।

এক দশক ধরে চলা একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পেঙ্গুইনরাও মানুষের মতোই, সবসময় সঙ্গীর খোঁজে যেমন থাকে, সঙ্গীর সঙ্গে রসায়নের খোঁজ থাকে তেমনই তাদের সঙ্গে প্রতারণাও করে। গবেষকরা ১৩টি প্রজনন ঋতুতে ৩৭ হাজার পেঙ্গুইনের উপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, সঙ্গীর সঙ্গে ‘ডিভোর্স’ তাদের মধ্যে সাধারণ ঘটনা। এই বিচ্ছেদের কারণ আবার চমকে যাওয়ার মতো। তথ্য, প্রজননের সময় সঙ্গীতে সন্তুষ্ট না হলেই চটে যাচ্ছে মেয়ে-পেঙ্গুইনরা। তখনই তারা সঙ্গীদের ছেড়ে খুঁজে নিচ্ছে অন্যদের।

গবেষণায় দেখা গেছে, পেঙ্গুইনের মধ্যে বিচ্ছেদের হার উপনিবেশের প্রজনন সাফল্যের একটি উল্লেখযোগ্য পূর্বাভাস। কারণ, একটি প্রজনন ঋতুতে ব্যর্থ হওয়ার পর, পেঙ্গুইন পরেরবার অন্য সঙ্গী খুঁজে নেয়। সঙ্গীদের মধ্যে ঝামেলা-ঝঞ্ঝাটও লেগে থাকে প্রায় অনেক সময়। নতুন সঙ্গী অনেক সময় বাসা তৈরিতে, ডিমের রক্ষণাবেক্ষণে এক্সপার্ট হয় না। সেক্ষেত্রে প্রথম ঋতুতে প্রজনন সঠিক না হলেও, পরের ঋতুর জন্য অপেক্ষা করে অনেকেই।

তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন
বাড়ির লোক জানতে পারলে মারবেন, ‘ধর্ষিত’ হয়েও প্রমাণ লুকোতে যৌনাঙ্গে ব্লেড, পাথর ঢোকালেন তরুণী!
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, এক অটোচালকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। গত মঙ্গলবার ওই অটোচালকের সঙ্গে বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে আরনালা সৈকতে যান তরুণী।

তিনি ‘ধর্ষিত’ হয়েছেন এই ঘটনা বাড়ির লোক জানতে পারলে বকবে, মারধর করবেন। আর সেই ভয়েই ধর্ষণের প্রমাণ লুকোতে যৌনাঙ্গে ব্লেড এবং পাথর ঢোকালেন তরুণী। ব্লাডের আঘাতে রক্তপাত হতে থাকায় শেষমেশ পুলিশকে ফোন করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এস তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তার পর ধর্ষণের একটি মামলা রুজু করা হয়।

ঘটনাটি মুম্বইয়ের। গত মঙ্গলবার একটি রেলস্টেশন থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এক অটোচালকের বিরুদ্ধে তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে যে, এক অটোচালকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল। গত মঙ্গলবার ওই অটোচালকের সঙ্গে বাড়ি থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে আরনালা সৈকতে যান তরুণী। সেখানে একটি হোটেলে রাত কাটানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁদের।

কিন্তু তরুণীর কাছে কোনও পরিচয়পত্র না থাকায় হোটেলে ঘর পাননি। তাই তাঁরা সৈকতেই রাত কাটানোর পরিকল্পনা করেন। পুলিশের অনুমান, সেই সময়েই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে। তার পর তরুণীকে সৈকতে ফেলে রেখে চম্পট দেন অটোচালক।

পুলিশ সূত্রে খবর, আতঙ্কিত হয়ে তরুণী নালাসোপারা স্টেশনে আসেন। কিন্তু ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছিলেন না। ধর্ষণের ঘটনা শুনলে বাবা-মা তাঁকে মারবেন, এই আতঙ্কে স্টেশনের বাইরেই বসে থাকেন তিনি। তার পর দোকান থেকে একটি ব্লেড কিনে নিয়ে আসেন।

একটি প্লাস্টিকে সেই ব্লেড এবং একটি পাথর ভরে যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেন। কিছু ক্ষণ পরেই রক্তপাত হতে থাকায় আরও ভয় পেয়ে যান তরুণা। তার পরই পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ এসে তরুণীকে উদ্ধার করে। ধর্ষণের মামলা দায়ের হয় অটোচালকের বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।

পুলিশ জানতে পেরেছে, বারাণসীতে কাকার বাড়িতে থাকার সময় নিজেকে অনাথ বলে দাবি করতেন তরুণী। রবিবার কাকার সঙ্গে মুম্বইয়ে আসেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর বাবা তাদের জানিয়েছেন যে, এর আগেও ২০২৩ সালে তাঁর কন্যা দু’টি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিলেন। একটি নির্মল নগরে। অন্যটি শিবাজি নগরে। তরুণীর কোনও মানসিক সমস্যা আছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ