সোমবার, ২ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
বিএনপির আন্দোলনের সামর্থ্য নিয়ে ক্ষমতাসীনদের প্রশ্ন তোলার মধ্েয দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সময়-সুযোগ’ মতো আবার রাজপথে নামবেন তারা।
তিনি শনিবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বলেন, “আন্দোলন একটা বিজ্ঞানের ব্যাপার, বিভিন্ন কৌশলের ব্যাপার। রাজনীতি তো এক জায়গায় বেঁধে রাখার জিনিস না, এর উত্থান-পতন আছে, কখনও আমার ভালো সময় যাবে, কখনও আমার খারাপ সময় যাবে।
“আমরা প্রতিবার রাজপথে আসছি, সময় মতো-সুযোগ মতো আমরা অবশ্যই আবার রাজপথে আসব। একটা কথা আমরা পরিষ্কার করে বলতে পারি, ‘উই আর কমিটেড উইল ফাইট টু দ্য লাস্ট’।” এখন বিএনপির জন্য দুঃসময় চলছে বলে ফখরুলের কথায় স্পষ্ট, এজন্য সরকারের দমন-পীড়নকে দায়ী করেন তিনি।
“আমরা গণতান্ত্রিক শক্তি, আমরা লড়াই করছি একটা ফ্যাসিস্ট শক্তির সাথে। একবছরে আমাদের হাজারের উপরে নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, পুলিশ গুলি করে মেরেছে। ৫শর উপরে আমাদের নেতা-কর্মী গুম হয়ে গেছে, হাজার হাজার নেতা-কর্মী পঙ্গু হয়েছে।”
“গোটা বাংলাদেশে এখন বিএনপি মানেই হচ্ছে আসামি, বিএনপি মানেই হচ্ছে কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে অথবা জেলখানায় থাকতে হবে। বিএনপি মানেই হচ্ছে তাকে রাতের অন্ধকারে হত্যা করা হবে অথবা এলাকা থেকে পালিয়ে অন্য জায়গায় থাকতে হবে।”
তারপরও বিএনপি নিঃশেষ হবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এত কিছুর পরও তারা বিএনপির একটা লোককেও টেনে নিতে পারেনি। আমাদের একজন নেতা-কর্মীকেও তারা বিচ্যুত করতে পারেনি। এখানেই বিএনপির শক্তি।”
দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে অনুসরণের পাশাপাশি দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দিকে চেয়ে প্রেরণা অর্জন করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, “তিনি স্বামী হারিয়েছেন, পুত্র হারিয়েছেন, আরেক পুত্র নির্বাসিত। তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে, এখন প্রতি সপ্তাহে আদালতে গিয়ে মিথ্যা মামলায় তাকে হাজিরা দিতে হয়।
“আমি তাকে অভিবাদন জানাই। বাংলাদেশে কয়জন নেতা আছেন, যার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করেতে হয়েছে।”
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের সেমিনার কক্ষে ‘ডেমো্ক্েরসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ সংগঠনের উদ্যোগে কবি আবদুল হাই শিকদার রচিত ‘জ্যোতির্ময় জিয়া এবং কালো মেঘের দল’ গ্রন্থের চতুর্থ সংস্করণের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফখরুল।
সংগঠনের সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর পরিচালনায় আলোচনা সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, কলামিস্ট মাহফুজউল্লাহ, ড্যাব মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল লতিফ মাসুম, জাসাস সভাপতি এম এ মালেক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সৌদি আরবের রিয়াদ বিএনপির সভাপতি মীম সিদ্দিকুর রহমান ও গ্রন্থের লেখক কবি আবদুল হাই শিকদার বক্তব্য রাখেন।- বিডিনিউজ