বুধবার, ৯ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
অগ্নিগর্ভ সারাদেশ। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে গভীর সঙ্কটের দিকে যাচ্ছে দেশ। সহিংসতা খুবই সামনাসামনি হচ্ছে, চোখের সামনে হচ্ছে, বেপরোয়াভাবে হচ্ছে। ভাঙচুর হচ্ছে, অগ্নিসংযোগ হচ্ছে, গুলি চলছে। একে একে ঝরছে প্রাণ। থানা আক্রমণ হচ্ছে দায়িত্বরত পুলিশদের পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হচ্ছে। মরছে ছাত্র-যুবক- রাজনৈতিক কর্মি। চেনা জনপদে শুধুই আতঙ্ক।
সন্ত্রাস সহিংসতার লাগাম কে টেনে ধরবে? পক্ষ অনেক আছে কিন্তু এর সবটাই নিজ নিজ পক্ষ। দেশের পক্ষ বড়ই উপেক্ষিত হচ্ছে। নানা গোষ্ঠি নানা মত দিচ্ছে- সেই সাথে উসকানির ভয়াবহতাও আছে। কীভাবে সমঝোতা গড়ে উঠবে, পরিস্থিতির অবসান হবে কোন উপায়ে এমন পরামর্শের যে খুবই প্রয়োজন এই মুহূর্তে। কিন্তু স্বার্থ-ধ্যানে মগ্ন পক্ষ প্রকারান্তরে উত্তেজনাই ছড়িয়ে দিচ্ছে। এ যেন ‘বানের ওপর রাগ করে ধান ডোবানো’-এর প্রবণতা। অভিমান- ক্ষোভ থাকাই স্বাভাবিক কিন্তু সেই অভিমান-ক্ষোভ কী নিজ পায়ে কুড়ালের কোপ মারার সিদ্ধান্ত হতে পারে? পরিস্থিতি সে পথেই নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। খুবই পরিকল্পিত উপায়ে।
শুভবোধ সম্পন্ন মানুষদের কথা বলা দরকার। তারা চুপ থাকতে পারেন না। একটা উদ্যোগ নেয়াই যায়। গণতান্ত্রিক বোধসম্পন্ন রাজনৈতিক দলগুলোও এগিয়ে আসতে পারে। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণ, তাদের জানমালের নিরাপত্তা বিধান করা সকল পক্ষেরই দায়িত্ব-কর্তব্য। আর বিলম্ব নয়- জাতীয় সংলাপ করে সমাধান খুঁজতে হবে। সব পক্ষ আন্তরিক হলে ভয়াবহ এ সমস্যার সমাধান সম্ভব হবে।