প্রতিকী ছবি
রাবি প্রতিবেদক:
পদ্মা নদীতে সাঁকো পার হতে টাকা দেওয়া নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করেছেন কিছু ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নগরের পদ্মা নদীর বড়কুঠি এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন হাসিম রানা ও মেহেদী হাসান। মেহেদী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছাড়লেও শরীরে আঘাত নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসিম। এ ঘটনায় রাতে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং একাধিক আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেছেন আহত এক শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থী, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা পদ্মা নদীর চরে বেড়াতে যান। তাঁরা নগরের পাঠানপাড়া পদ্মার লালন শাহ্ মুক্তমঞ্চ হয়ে চরে বেড়াতে যান। ফেরার সময় পদ্মা গার্ডেন সংলগ্ন বড়কুঠি এলাকা হয়ে ফিরছিলেন। সেখানে বাঁশ, কাঠ, মাটি দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছেন স্থানীয় কয়েকজন। সাঁকো দিয়ে যাতায়াতে জনপ্রতি ১০ টাকা নেন তাঁরা।
ওই শিক্ষার্থীদের কাছেও তাঁরা ১০ টাকা করে চান। তবে শিক্ষার্থীরা এ দিক দিয়ে পদ্মার চরে যাননি; তাই পাঁচ টাকা করে দিতে চান। এ নিয়ে কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্থানীয় তরুণেরা লাঠিসোঁটা ও দেশি ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। পরে দুজনকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ও হাসপাতালের মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস জানান, সন্ধ্যার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে আহত অবস্থায় জরুরি বিভাগে আনা হয়েছিল। একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। হাসিম নামের একজনকে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অর্থোপেডিকস বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শরীরজুড়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মাহবুবর রহমান বলেন, আহত ব্যক্তিদের একজন এখনো হাসপাতালে ভর্তি আছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে হবে। তাঁরা সেটা পুলিশকে জানিয়েছেন।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন, গতকাল রাতে থানায় মামলা হয়েছে। আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।