বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সাঁথিয়া প্রতিনিধি:
পাবনার সাঁথিয়ায় নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, বাড়িঘর ভাংচুর, লুটপাট, সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫-৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোর রাতে চার জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-উপজেলার সোনাতলা গ্রামের আলতাব মোল্লার ছেলে মামুন অর রশিদ (৪০), মুরাদ হোসেন (২৯), এবং মৃত আকবর মোল্লার ছেলে আব্দুল গফুর (৪২) ও আলমগীর হোসেন (৩৫)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (১৮ডিসেম্বর) মসজিদের মাইক দিয়ে লোকজন সমবেত হওয়ার আহবান জানিয়ে সংঘর্ষের ঘোষণা দিলে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এ পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে এবং ভয়ে অনেকেই এলাকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাগডেমড়া ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান এবং সাবেক চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদের মধ্যে সোনতলা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলা মামলার ঘটনায় দীর্ঘদন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। হাফিজ চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা দীর্ঘদিন গ্রামছাড়া ছিলেন। তিনি রোববার (১৭ডিসেম্বর) সমর্থকদের নিয়ে বাড়ি আসেন। এ খবর জানাজানি হলে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। এতে উভয় পক্ষের ১০-১২ টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে এবং সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়। এ ঘটনায় সবেক চেয়াম্যান হারুন অর রশিদের সমর্থক আফাজ ফকিরের ছেলে আব্দুল মান্নান বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন।
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)আনোয়ার হোসেন বলেন, নাগডেমরা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।