সোনার দেশ ডেস্ক :বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় তেল ও গ্যাস উত্তোলনের জন্য আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোকে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘দ্য টেরিটোরিয়াল ওয়াটারস অ্যান্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট-১৯৭৪’ এর সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে তিনি এ বক্তব্য দিচ্ছেলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই দেশ আরো এগিয়ে যাবে, এরজন্য যথাযথ বিনিয়োগ প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদে আমরা আহ্বান করবো আমাদের সমুদ্রের তেল, গ্যাস উত্তোলনের জন্য।
দেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে গভীর ও অগভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের লক্ষ্যে গত বছর জুলাই মাসে মডেল পিএসসি (চুক্তির খসড়া) অনুমোদন দিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামী মার্চ মাসের প্রথমভাগে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
মডেল পিএসসির নীতিমালায় বলা হয়েছে, সমুদ্রে গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানির কাছ থেকে সরকার গ্যাস কিনবে। প্রতি হাজার ঘনফুট গ্যাসের দাম হবে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানির তেলের প্রতি ব্যারেলের বাজারমূল্যের ১০ শতাংশ।
তবে মোট উত্তোলিত গ্যাসের একটি অংশ সরকার বিনামূল্যে পাবে। কত অংশ বিনামূল্যে পাবে তা উত্তোলনকারী কোম্পানি এবং সরকারের মধ্যে দরকষাকষির মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে।
তেল গ্যাস অনুসন্ধানকারী একাধিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ইতোমধ্যে সরকারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি এক্সনমবিলের দু’জন প্রতিনিধি মঙ্গলবার জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি শেভরনও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানে আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে এর আগে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আলোচনা করেছি এবং আন্তর্জাতিক টেন্ডারও দিচ্ছি। যেন এগুলো ভালোভাবে উত্তোলন করতে পারি, অর্থনীতিতে কাজে লাগাতে পারি।”
উপস্থিত অভ্যগতদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকের সেমিনারে যারা সম্পৃক্ত, বক্তব্য দেবেন বা পরামর্শ দেবেন, আন্তর্জাতিকভাবে যারা বিদেশি অতিথি এসেছেন, আমি আন্তরিক ও ধন্যবাদ জানাই৷ আমি সবাইকে আহবান করবো, আপনারা আসুন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন, আমাদের ভৌগোলিক অবস্থানে যারা বিনিয়োগ করবে তারা লাভবান হবেন। ব্যবসা-বাণিজ্যের অপার সম্ভাবনার সুযোগ সৃষ্টি হবে। আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলব।
অনুষ্ঠানের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সামুদ্রিক বিষয়ক ইউনিটের সচিব অবসরপ্রাপ্ত রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. খুরশেদ আলম। অন্যদের মধ্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান বক্তব্য দেন।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ