সাজেকে পাহাড়ি দুই সংগঠনের গোলাগুলি, পরিবহন শ্রমিক নিহত

আপডেট: জুন ১৮, ২০২৪, ৭:৫৫ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক:


রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেকে পাহাড়ের দুটি আঞ্চলিক সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলিতে এক পরিবহন শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে পর্যটন কেন্দ্র সাজেক’র বাঘাইহাট বাজারে এ গোলা-গুলির ঘটনা ঘটে বলে রাঙামাটির পুলিশ-সুপার মীর আবু তৌহিদ জানান।
মো. নাঈম নিহত পরিবহন শ্রমিক। তিনি শান্তি পরিবহনের সুপার ভাইজার ছিলেন।

পুলিশ সুপার বলেন, “দুই আঞ্চলিক সংগঠনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বাঘাইহাটে গোলাগুলিতে এক পরিবহন শ্রমিক আহত হন। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল পৌনে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।”

কোন দুটি আঞ্চলিক দলের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে- জানতে চাইলে জেলা পুলিশের প্রধান বলেন, “এ বিষয়ে জানার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।”
এদিকে প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ গোলাগুলির ঘটনার জন্য ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) সংগঠনকে দায়ী করে বিবৃতি দিয়েছে।
তবে ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক) বলছে, তারা শুধু হামলা প্রতিহত করেছে।

দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা জয় চৌধুরী বলেন, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে গুলিবিদ্ধ নাঈমকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালে আনার ১০ মিনিট পরই তার মৃত্যু হয়।

সাজেক থানার ওসি আবুল হাসান খান বলেন, “এলাকার পরিস্থিতি থম-থমে। এখন’র বেশি কিছু জানাতে পারছিনা।”

ইউপিডিএফের বিবৃতি
প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট-ইউপিডিএফ রাঙামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা বিকালে এক বিবৃতিতে গুলিতে হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তিনি অবিলম্বে হত্যকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

তার দাবি, “বাঘাইহাট বাজার থেকে ব্যবসায়ীরা মালামাল কিনে উজো বাজার ও মাচলং বাজারে নিতে চাইছিলেন। তখন ঠ্যাঙাড়ে সদস্যরা তাতে বাধা দেয়। এতে ব্যবসায়ী ও এলাকার পাহাড়ি- বাঙালি সাধারণ জনগণ বিক্ষুদ্ধ হয়। প্রতিবাদে তারা পর্যটন সড়কে ও বাঘাইহাট বাজারে বিক্ষোভ করে।
“কিন্তু ঠ্যাঙাড়েরা বিনা উসকানিতে জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালালে হতাহতের ঘটনা ঘটে।”

এসময় দুলেই চাকমা এবং চিক্কো চাকমা নামে ২জন আহত হয়েছে বলেও দাবি করেছে ইউপিডিএফ।
কয়েক বছর আগে প্রসীত খিসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ থেকে বেরিয়ে গিয়ে কিছু নেতা ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক নামে সংগঠন গড়ে তোলেন। ইউপিডিএফ নেতাকর্মীরা সেই সংগঠনকে ‘ঠ্যাঙাড়ে বাহিনী’ বলে থাকে।

তবে ইউপিডিএফ-গণতান্ত্রিক রাঙামাটি জেলার সভাপতি শ্যামল চাকমা বলেন, “আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করতে আসলে তারা প্রতিরোধ করে।”
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ