সোমবার, ১৭ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৩ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
আদমদীঘি প্রতিনিধি:
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরে ছোট বড় বিভিন্ন যানবাহন থেকে পৌরসভার নামে চাঁদা উঠায় শ্রমিক সংগঠন। পৌরসভার নাম ব্যবহার করে সড়ক ও যানবাহন থেকে চাঁদা উঠালেও পৌরসভা কতৃপক্ষকে পরিশোধ করতো না মাসিক টাকা। পৌর শহরের রেলগেট এলাকার সিএনজি স্টান্ডসহ বিভিন্ন স্টান্ডের নামে এই সব টাকা উঠানোর পাশাপাশি সড়কে ব্যাক্তি স্বার্থে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকার সৃষ্টি করতো শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। বগুড়া জেলা পুলিশের নির্দেশে মহাসড়ক থেকে চাঁদাবাজি বন্ধ হলেও পৌর শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট উঠানো হতো চাঁদা।
এই চাঁদাবাজি বন্ধে রোববার (২৬ মে) মাঠে নামে আদমদীঘি উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও নব নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান পিন্টু। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ ও সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির সহায়তায় শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থেকে বিভিন্ন অবৈধ ডিভাইডার সড়িয়ে ফেলা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সান্তাহার পৌরসভা প্যানেল মেয়র জার্জিস আলম রতন, সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক বকুল হোসেন, পৌর কাউন্সিলর হুমায়ুন কবির বাদশা, আলাউদ্দিন, কামরুল, বগুড়া ট্রাফিক পুলিশের টিএসআই (সান্তাহার রেলগেইট কর্তব্যরত) মোস্তাফিজুর প্রমূখ।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান পিন্টু বলেন, সড়ক মহাসড়কে কোনো চাঁদা দিতে হবে না। এই প্রথর রোদ ও বৃষ্টিতে ভিজে আপনাদের ঘাম ঝড়ানো টাকা নিজের পরিবারের জন্য নিয়ে যাবেন। আপনারা কষ্ট করে উপার্জন করবেন আপনার উপার্জনের টাকা হতে চাঁদা কেন দিবেন। আপনাদের দুর্বলতার কারনে চাঁদা-বাজরা সুযোগ নেই। আপনারা সচেতন হলে কেউ চাঁদাবাজি করতে পারবেনা। কেউ যদি সমস্যা করে আমাদের জানাবেন, প্রশাসনকে জানাবেন সকলে মিলে আপনাদের সহযোগীতা করবে। এই চাঁদা-বাজিরের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর পদ-ক্ষেপ গ্রহণ করব।