সোমবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৯ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
বিভিন্ন ধরণের সাপের বিষ বিভিন্ন ধরণের থাকে। যে সাপ যতবেশি বিষাক্ত হয় ততই তার বিষের মাত্রা বেশি হয়। সেখানে কতটা কার্যকরী হতে পারে সাপের বিষের প্রতিশেধক। ভৌগলিক কারণে বিভিন্ন এলাকায় সাপের বিষের তারতম্য হয়ে থাকে। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অফ সায়েন্সের পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা করা হয়েছে।
সেখানে দেখা গিয়েছে একজন প্রাপ্তবয়স্ক রাসেল ভাইপার, কোবরার বিষ এতটাই বিবর্তিত হয়েছে যে তার জেরে বিষের প্রতিশেধক সঠিকভাবে কাজ করছে না। সাপের বয়সের উপর নির্ভর করে তার বিষের পরিমান স্থির করা হয়। সেখানে কমবয়সী সাপের থেকে বেশি বয়সের সাপের বিষ অনেক বেশি তীব্র হয়ে থাকে। তবে এর ব্যতিক্রমও রয়েছে।
রাসেল ভাইপার
এই প্রজাতির ছোটো সাপের বিষ বড়গুলির তুলনায় বেশি হয়। কারণ এরা জানে না কার দেহে কতটা বিষ ঢালতে হয়। ফলে প্রতিবারই এরা একই পরিমান বিষ ঢেলে দেয়। একটি গিরগিটির উপর এরা প্রায় ১০ গুন বেশি বিষ ঢালে, যা প্রয়োজন নয়।
কোবরা
এরা সারাজীবন ধরে একটি নির্দিষ্ট ধারায় জীবন অতিবাহিত করে। তবে এদের বিষ তৈরি হতেও সময় লাগে অনেকটা। ফলে এরা নিজেদের বিষ সঞ্চয় করে রাখে। প্রতিবছরই এদের বিষ বিবর্তিত হয়ে থাকে।
বিগত দিনে যে সাপের বিষ প্রতিরোধ ওষুধ ছিল তা বর্তমানে অনেকটাই বিফল হিসাবে দেখা গিয়েছে। তাই নতুন ধরনের প্রতিশেধক তৈরি করার কথা ভাবছে বিজ্ঞানীরা।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন