মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের আগের তিন আসরের দুইবার সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। দু’বারই লাল-সবুজ জার্সিধারীদের শেষ চার থেকে বিদায় করে দেয় নেপাল। ২০১০ সালে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত প্রথম আসরের সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল নেপাল। ২০১৪ সালে পাকিস্তানের ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ আসরের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ হারে ১-০ গোলে। দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের এই ফুটবল টুর্নামেন্টে নেপাল যেন বাংলাদেশের জন্য এক আতঙ্কের নাম। এবার সে আতঙ্ক নেই সেমিফাইনালে। নেপাল নয়, ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বাংলাদেশের সামনে পড়েছে মালদ্বীপ।
অপেক্ষাকৃত দূর্বল প্রতিপক্ষকে পাওয়ায় প্রথমবারের মতো নারী সাফের ফাইনালে ওঠার হাতছানি বাংলাদেশের সামনে। শনিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে ভারতকে রুখে দিয়ে আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে সাবিনা-কৃষ্ণাদের। সে আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে আজ সোমবার মালদ্বীপের বিপক্ষে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামছে গোলাম রাব্বানি ছোটনের শিষ্যরা। মালদ্বীপ বাধা টপকালে আরেকটি নতুন ইতিহাস রচনা হবে মেয়েদের ফুটবলে। ভারতের শিলিগুড়ির কাঞ্চজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায়। বিকেল ৩ টায় প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ভারত ও নেপাল।
গত ইসলামাবাদ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপ ম্যাচে মালদ্বীপের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। দ্বীপ দেশটিকে ৩-১ গোলে হারিয়ে বাংলাদেশ পেয়েছিল সেমির টিকিট। সেই মালদ্বীপ এবার বাধা সেমিফাইনালে। আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছে বাংলাদেশ সে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে মালদ্বীপ হারানো কঠিন হবে না। এখন দিনটা বাংলাদেশের হলেই হয়।
বাংলাদেশ সেমিফাইনালের লক্ষ্য নিয়েই ভারত গিয়েছিল। প্রথম লক্ষ্য পুরনের পর এবার ফাইনালে ওঠার উজ্জ্বল সম্ভাবনা। কোচ গোলাম রাব্বানি ছোটন বলেছেন, ‘মেয়েরা আমরা নির্দেশনা ঠিকঠাক মতো পালন করছে মাঠে। আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল সেমিফ্ইানাল তা পুরণ হয়েছে। জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ভারতের বিপক্ষে ড্র আমার সবচেয়ে বড় অর্জন। সেমিফাইনালে উঠেছি। এখন আমাদের লক্ষ্য ফাইনাল।’
অধিনায়ক সাবিনা খাতুনও সে প্রত্যাশা করছেন ‘আমরা খুবই আনন্দিত সেমিফ্ইানালে উঠতে পারায়। যা আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল। এখন আমাদের চোখ ফাইনালে।’ গোলরক্ষক সাবিনা আক্তার দারুন খেলেছেন ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি। সতীর্থদের ধন্যবাদ জানিয়ে সাবিনা আক্তার বলেছেন, ‘প্রমাণ করেছি আমরা গ্রুপের সেরা দল। মাঠে নামার আগে বলেছিলাম কোনো গোল খাবো না। কথা রেখেছি। সামনেও গোল না খাওয়ার চেষ্টা করবো।’-জাগো নিউজ