মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :আগামী ৫ বছরের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের (এসইএআরও) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ সায়মা ওয়াজেদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদই প্রথম বাংলাদেশি, যিনি ডব্লিউএইচওর এই পদে অধিষ্ঠিত হলেন। আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে তিনি ১১টি দেশে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য কার্যক্রমের তদারক করবেন, যেখানে প্রায় ২শো কোটি মানুষের বসবাস।
এসইএআরও সামাজিক মাধ্যমে এক বার্তায় জানায়, সায়মা ওয়াজেদ বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) পরিচালক হিসেবে তার দায়িত্ব বুঝে নিয়েছেন এবং তার ওপর আস্থা রাখার জন্য সদস্য দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানানো হয়।
মানসিক স্বাস্থ্য, নারী ও শিশুদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বাস্থ্য খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর মত বিষয়গুলো অগ্রাধিকারে রাখার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
সায়মা ওয়াজেদ এসইএআরও-এর পরিচালক হিসেবে পুনম ক্ষেত্রপাল সিংয়ের স্থলাভিষিক্ত হবেন।
এসইএআরও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ৬টি আঞ্চলিক অফিসের একটি; সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে এ অফিস গঠিত। বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, উত্তর কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, তিমুর-লেস্তে ও মিয়ানমার এ অফিসের সদস্য।
২০২৩ এর পহেলা নভেম্বর ভারতের নয়া দিল্লিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক কমিটির ৭৬তম অধিবেশনে পরিচালক পদে নির্বাচিত হন সায়মা ওয়াজেদ।
ওই পদে সায়মা ওয়াজেদের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নেপালের ড. শম্ভু প্রসাদ আচার্য। সদস্য দেশগুলোর সরাসরি ৮-২ ভোটে নির্বাচিত হন তিনি।
এরপর ২৩ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের জেনিভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরে সংস্থাটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সভায় তার মনোনয়ন অনুমোদিত হয়।
অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশ জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা এর আগে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য ছিলেন।
বাংলাদেশে অটিজম-আক্রান্ত ব্যক্তিদের মুখপাত্র হিসেবে উদ্ভাবনী কাজের জন্য ডব্লিউএইচওর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ‘অটিজম-বিষয়ক শুভেচ্ছা দূত’ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করছেন।
সায়মা ওয়াজেদ ১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি পান।
তথ্যসূত্র: বিডিনিউজ