নিজস্ব প্রতিবেদক:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ (আইএসপিআর) পরিদপ্তর বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে, নগরীতে দুইটিসহ ৯ টি উপজেলায় একটি করে ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে-বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (০৩ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, মহাখালী এলাকায় সেনাবাহিনীর টহল দেখা গেছে। দুপুরের পর রাজশাহী নগরীতেও সেনাবাহিনীর টহল দেখা গেছে।
এর আগে নির্বাচনী এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় গত ২৯ ডিসেম্বর সারাদেশে বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, আনসার ও ভিডিপি মোতায়েন করা হয়।
মঙ্গলবার আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিলো, সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে ‘ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সশস্ত্র বাহিনী নিয়োজিত হয়েছে। বাহিনীর সদস্যরা প্রতিটি জেলা, উপজেলা, মহানগর এলাকার নোডাল পয়েন্ট ও অন্যান্য সুবিধাজনক স্থানে অবস্থান করবেন। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুরোধ ও সমন্বয়ের মাধ্যমে বাহিনীর সদস্যদের এলাকাভিত্তিক মোতায়েন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬২ জেলায় সেনাবাহিনী নিয়োজিত হয়েছে।
৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদেও মোতায়েনের বিষয়ে গত ২১ ডিসেম্বর পরিপত্র জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়, ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন। ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় মহানগর এলাকা, মহানগরের বাইরে, পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ জন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে ১৬ থেকে ১৭ জন পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা চাইলে সংখ্যা বাড়াতে বা কমাতে পারবেন।