সিংড়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকে কলেজছাত্রীকে যৌন নির্যাতন || হুমকির মুখে গ্রামছাড়া নির্যাতিত ছাত্রী

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৭, ১২:০৮ পূর্বাহ্ণ

নাটোর অফিস ও সিংড়া প্রতিনিধি


নাটোরের সিংড়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক কলেজ ছাত্রী। এ ঘটনায় সিংড়া থানায় মামলা দায়ের করেছে নির্যাতিতার পরিবার। মামলার পর নির্যাতনকারীদের হুমকির মুখে নির্যাতিত ছাত্রী গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে।
সিংড়া গোল-ই আফরোজ সরকারি কলেজের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী গত সোমবার দুপুরে তার মায়ের সাথে উপজেলার তিনভিটা হিয়াতপুর কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে যায়। এসময় সেলিম, শামীম ও মাহবুব নামে স্থানীয় ৩ বখাটে সেখানে ঢুকে ওই ছাত্রীর মাকে বাইরে বের করে দিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে ছাত্রীর ওপর যৌন নির্যাতন শুরু করে। এ অবস্থায় তায়ের মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় সোমবার রাতে নির্যাতিত ছাত্রীর ভাই এই তিনজনকে অভিযুক্ত করে সিংড়া থানায় মামলা করেছেন। মামলার পর হুমকির মুখে ওই ছাত্রী এক আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
নির্যাতিত ছাত্রী জানান, সে লেখাপড়া করে দেশের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলেন। এদের তার জীবন শেষ হয়ে গিয়েছে। আজ তার কলেজ ও বাইরে যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে। অপরদিকে এ ঘটনার পরই গ্রামের প্রধান রহিদুল প্রামাণিক সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে ও তার মাকে এ ব্যাপারে থানা-পুলিশের কাছে অভিযোগ না করার জন্য চাপ দেন। বিষয়টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন সিংড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে ইউএনও  তখন এ ব্যাপারে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দেন। পরে মুনসুর বাদী হয়ে সিংড়া থানায় আভিযোগ দাখিল করেন। তিনি জানান, সেলিম নামের ওই ছেলেটি অনেক আগে থেকেই তার বোনকে উত্ত্যক্ত করতো।
ঘটনার সময় তিনভিটা হিয়াতপুর কমিউনিটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রটিতে স্বাস্থ্য সহকারী কর্মকর্তার দায়িতরত্ব কাউছার আলী বলেন, ‘আমি সকালে কেন্দ্রের বারান্দায় বসে কাজ করছিলাম। ওই সময় অভিযোগকারী ছাত্রী কেন্দ্রের ভেতরে ছিলেন। তখন মাহাবুরসহ কয়েকজন ছেলে ছিল।
অভিযুক্ত মাহাবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘ক্লিনিকের বারান্দায় সেলিম এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে সে জড়িত নয় বলে দাবি করে।’
এ বিষয়ে সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দীন ম-ল এজাহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সোমবার রাতে এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপপরিদর্শক খাইরুজ্জামানকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।