মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউপির চেয়ারম্যানকে দায়িত্ব পালনে সহযোগিতার নামে সংগঠন পরিপন্থী কার্যকলাপের অভিযোগে বিএনপির চার নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
একই কারণে আরো চার নেতাকে তিরষ্কারসহ সর্তক করা হয়েছে।
এছাড়া যুবদল ও ছাত্রদলের ছয় নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা যুবদল ও ছাত্রদলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার রাতে জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক তানভীর মাহমুদ পলাশের সই করা আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এসব জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনুল হক, চান্দাইকোনা ইউনিয়ন বিএনপির উপদেষ্টা কামরুল ইসলাম বাবলু, একই ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান আকন্দ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ খানকে প্রাথমিক সদস্য পদ থেকেও তিন মাসের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
একই কারণে জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য রাহিন মান্নান লেলিন, চান্দাইকোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল মোমিন সরকার, সাধারণ সম্পাদক আবু সামা ও সহ-সভাপতি খন্দকার মো. শামিউল ইসলাম শামীমকে তিরষ্কারসহ সর্তক করা হয়েছে।
এছাড়া রায়গঞ্জ উপজেলা যুবদলের সিপার আল হাসান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিল হোসেন আকন্দ, চান্দাইকোনা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম রেজা, যুবদল নেতা সোহাগ আকন্দ, মো. আপেল ও ছাত্রদল নেতা সাগর সরকারের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা যুবদল ও ছাত্রদলকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চান্দাইকোনা ইউপির চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান খান আত্মগোপনে চলে যান।
এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ ওঠা বিএনপির নেতারা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান খানকে ডেকে এনে ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্বভার গ্রহনে সহযোগিতা করেন।
এ সংক্রান্ত ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হলে ঘটনার তদন্তে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক হারুন অর রশিদ খানকে হাসানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা বিএনপি।
তদন্ত শেষে কমিটির সদস্যরা জেলা বিএনপির কাছে প্রতিবেদন দাখিল করেন।এরই প্রেক্ষিতে ৮ নেতারা বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে জেলা বিএনপি।
পদ থেকে অব্যাহতি পাওয়া রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনুল হক সোমবার মোবাইলে বলেন, “আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি এমপি প্রার্থী। এ অবস্থায় আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে দলের কিছু লোকজন ক্ষতি করার জন্য মিথ্যা অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান খানের ঘটনার সঙ্গে আমার নাম জড়িয়েছে।”
তিনি বলেন, “তারপরও আমাকে ৩ মাসের জন্য দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।”
এই আদেশ প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
কখ্যসূত্র: বিডিনিউজ