শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
স্কোর: প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮ ওভারে ১০৯/১ (স্টাবস ২৩*, ডি জর্জি ৪৯*; মারক্রাম ৩৩)
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে প্রথম দিনের প্রথম সেশনেই দাপট দেখিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। লাঞ্চে যাওয়ার আগে প্রথম সেশনে তাদের স্কোর ছিল ১ উইকটে ১০৯ রান। প্রথম সেশনে বাংলাদেশের সাফল্য ছিল একটি ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক এইডেন মারক্রামের উইকেট। তাছাড়া পুরোটা সময়ই স্বাগতিকদের ওপর কর্তৃত্ব করেছে প্রোটিয়া ব্যাটাররা।
ঘণ্টা খানেকেরও বেশি সময় দারুণ জুটিতে বাংলাদেশকে হতাশ করেন মারক্রাম ও ডি জর্জি। ৬৯ রানের সেই ওপেনিং জুটি ভেঙেছেন তাইজুল ইসলাম। তার পর টনি ডি জর্জি স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে নতুন প্রতিরোধ গড়েন। অবশ্য এই ডি জর্জিকে সপ্তম ওভারেই সাজঘরে পাঠানোর সুযোগ ছিল।
কিন্তু হাসান মাহমুদের বলে তার ক্যাচ নিতে পারেননি অভিষিক্ত কিপার মাহিদুল ইসলাম। তখন ৬ রানে ব্যাট করছিলেন ডি জর্জি। তিনি বিরতিতে যাওয়ার আগে ৪৯ রানে অপরাজিত। সঙ্গে ২৩ রানে ব্যাট করছেন স্টাবস। এই জুটি অবিচ্ছিন্ন ৪০ রানে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা করেছিলেন প্রোটিয়া দুই ওপেনার এইডেন মারক্রাম ও টনি ডি জর্জি। ঘণ্টাখানেকেরও বেশি সময় প্রতিরোধ গড়ে খেলেছেন তারা। হতাশ করতে থাকা এই জুটি ভেঙে স্বস্তি ফিরিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। এইডেন মারক্রামকে ৩৩ রানে মুমিনুল হকের ক্যাচ বানিয়েছেন তিনি। তাতে ভেঙেছে ৬৯ রানের জুটি।
টস জিতে প্রোটিয়াদের দুই ওপেনার এইডেন মারক্রম ও টনি ডি জর্জি দারুণ শুরু করেছেন। সপ্তম ওভারে উইকেট ফেলার সুযোগও তৈরি করেছিল বাংলাদেশ। সেটা হয়নি উইকেটকিপার মাহিদুল ইসলামের ব্যর্থতায়।
চট্টগ্রামে টেস্টে কিপার ব্যাটার হিসেবেই অভিষেক হয়েছে মাহিদুল ইসলামের। কিন্তু অভিষেকে কিপিংয়ে শুরুতে হতাশ করেছেন তিনি। ৬.১ ওভারে হাসান মাহমুদের বলে ওপেনার ডি জর্জির ক্যাচ ছেড়েছেন। বল এজ হয়ে পেছনে গেলেও মাহিদুল সেটা গ্লাভসে জমাতে পারেননি। তখন ৬ রানে ব্যাাট করছিলেন জর্জি।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ঢাকায় সিরিজের প্রথম টেস্ট সফরকারীরা জিতেছে ৭ উইকেটে। ফলে চট্টগ্রাম টেস্ট বাংলাদেশের জন্য হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছেন, টস জিতলে তিনিও ব্যাটিং নিতেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা দুটি পরিবর্তন এনেছে। দলে ঢুকেছেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার সেনুরান মুথুসামী ও পেসার ডেন প্যাটারসন। মুধুসামি আবার বামহাতি স্পিনার। বাদ পড়েছেন ব্রিটজকে ও অফস্পিনার ডেন পিয়েট। তাতে প্রথম টেস্টের চেয়ে একজন পেসার বেড়েছে প্রোটিয়াদের।
বাংলাদেশ দলে অবশ্য পরিবর্তন তিনটি। অসুস্থতার কারণে খেলা হচ্ছে না লিটন দাসের। জাকের আলীও নেই। বাদ পড়েছেন নাঈম হাসান। ফলে দলে ঢুকেছেন পেসার নাহিদ রানা, কিপার ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম ও ব্যাটার জাকির হাসান। উইকেট কিপার ব্যাটার মাহিদুলের অভিষেক হচ্ছে। প্রথম টেস্টে এক পেসার নিয়ে খেললেও শেষ টেস্টে দুই পেসার ও দুই স্পিনার নিয়ে একাদশ সাজিয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ: সাদমান ইসলাম, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, জাকির হাসান, মাহিদুল ইসলাম (উইকেটরক্ষক), মেহেদী হাসান মিরাজ, নাহিদ রানা, তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদ।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: এইডেন মারক্রাম (অধিনায়ক), টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টান স্টাবস, ডেভিড বেডিংহ্যাম, রায়ান রিকেলটন, কাইল ভেরেইন (উইকেটরক্ষক), সেনুরান মুথুসামী, ভিয়ান মুল্ডার, কেশভ মহারাজ, কাগিসো রাবাদা ও ডেন পিটারসন।- বাংলানিউজ