শুক্রবার, ৩১ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৬৩ জেলা একযোগে কেঁপে উঠে। তবে এ কাঁপন ভূমিকম্পের নয়, জমিয়তুল মোজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) ফাটানো বোমা হামলায়। এতে মারা যায় দু’জন, আহত হয় আরো ২ শতাধিক মানুষ। আর এই হমালার একটাই কারণ, নিজেদের অবস্থান জানান দেয়া।
ওই সময় দেশের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে বোমাতঙ্ক। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা শায়খ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলা ভাই দেশের মানুষের কাছে মূর্ত আতঙ্কে পরিণত হয়।
কিন্তু দেশে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার নামে জেএমবির এ ধরনের ঘৃণ্য ও বর্বরোচিত হামলায় দেশ-বিদেশে নিন্দার ঝড় ওঠে। ১৭ আগস্টের পর তাদের চালানো একের পর এক আত্মঘাতী হামলায় বিচারক, আইনজীবী, পুলিশ, সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাসহ ৩৩ জন নিহত ও ৪ শতাধিক আহত হন।
১৭ আগস্টের সিরিজ হামলার ঘটনায় দায়ের করা ১৫৯টি মামলার ৬৮টির বিচার আজও শেষ হয়নি। উল্টো জামিনে মুক্ত হয়ে অনেক আসামি ফের শুরু করেছে নিষিদ্ধ এই সংগঠনের পুনর্গঠনের কাজ, ছদ্মবেশে চলছে তাদের দাওয়াতি কার্যক্রম।
তবে ২০০৭ সালে এ মামলায় শায়খ রহমান ও বাংলা ভাইসহ শীর্ষ কয়েক জেএমবি নেতাকে দ্রুতবিচার আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় এবং তা কার্যকর করা হয়। এছাড়া ১১২ জনের যাবজ্জীবন এবং ১০১ জনকে দেয়া হয়েছে নানা মেয়াদে সাজা। অবশ্য ফাঁসির তিন আসামিসহ ৭৪ সাজাপ্রাপ্ত জঙ্গি এখনও পলাতক।