বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই সাফল্যের রেশ কাটতে না কাটতেই উল্টো চিত্র দেখতে হলো বাংলাদেশ কোচ মারুফুল হককে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বে প্রথম গ্রুপ ম্যাচেই সিরিয়ার কাছে বিধ্বস্ত হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সিরিয়া ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে তাদেরকে।
ভিয়েতনামের হেই পংয়ের ল্যাচ ট্রে স্টেডিয়ামে সিরিয়া ম্যাচে আধিপত্য করে। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল তারা। পঞ্চম মিনিটে ডানদিক থেকে সতীর্থের আড়াআড়ি ক্রসে দূরের পোস্ট থেকে নিখুঁত প্লেসিং শটে জাল খুঁজে নেন ইসা কাওয়া।
১২ মিনিটে একইভাবে ডানদিক থেকে আসা ক্রসে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেনাজ ইউসা। ৩৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ইউসার নিচু জোরালো শট ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি গোলকিপার ইসমাইল মাহিন। একটু পর আনাস দাহানের শট এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে অল্পের জন্য ক্রসবারের ওপর দিয়ে যায়।
বিরতির পর একই চিত্র। ৭৩ মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেয় সিরিয়া। আব্দুল রহমানের শট গোলরক্ষক ফিস্ট করে ফেরালেও পুরোপুরি বিপদমুক্ত হয়নি; ফিরতি শটে লক্ষ্যভেদ করেন ওয়েসাম ডুখান। শেষ দিকে ফ্রি কিকে ব্যবধান আরও বাড়ান আনাস। এই গোলে অবশ্য দায় আছে গোলকিপারের। কাছের পোস্টে নেওয়া সিরিয়ার এই ফরোয়ার্ডের ফ্রি কিকে বল মাহিনের হাত হয়েই জালে জড়িয়ে যায়। বাংলাদেশ মাঝেমধ্যে আক্রমণ করেও ব্যবধান কমাতে পারেনি।
হার নিয়ে যা বললেন বাংলাদেশ কোচ :
এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ টুর্নামেন্টের বাছাই বাংলাদেশের জন্য ভালো হয়নি। ভিয়েতনামে সিরিয়ার বিপক্ষে ০-৪ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। কদিন আগেই বয়সভিত্তিক পর্যায়ে সাফ জিতে আসা বাংলাদেশ দলটা এবারে দেখল ভিন্ন এক বাস্তবতা।
এই হারের পর বাংলাদেশ দলের কোচ মারুফুল হক স্বাভাবিকভাবেই হতাশ। ম্যাচ পরবর্তী সময়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন এভাবে, ‘সিরিয়ার ম্যাচে টার্নিং পয়েন্ট প্রথম দুই গোল। সেখানে আমরা পুরোপুরি হাইটে (উচ্চতা) পরাস্ত হয়েছি। এছাড়া আমাদের ছেলেরা চেষ্টা করেছে।’
ট্যাকনিক্যালি সিরিয়ার ফুটবলাররা বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে। বাংলাদেশের ফুটবলাররা এমনিতেই পিছিয়ে থাকলেও আবার কিছু ভুলও করেছে। সেই ভুল ভালো করেই চোখে পড়েছে কোচ মারুফের, ‘রক্ষণে ও গোলরক্ষকে কিছুটা ভুল ছিল। সামনের ম্যাচে কাটিয়ে উঠতে পারব আশা করি।’
শনিবার গোলরক্ষক হিসেবে খেলেছেন মাহিন। অথচ মারুফের প্রাথমিক স্কোয়াডে ছিলেন সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়ন করানো আসিফ। সেই আসিফকে তিনি বাদ দিয়েছেন। কারণ আসিফের ফিটনেস নাকি আগের সেই পর্যায়ে নেই। আনুষ্ঠানিক কারণ এটি ব্যাখ্যা করলেও ফুটবল সংশ্লিষ্টদের ধারণা, বসুন্ধরা কিংস অন্য চার ফুটবলার না ছাড়ায় গোলরক্ষক আসিফ ও আরেক ফুটবলারকে ক্যাম্প ত্যাগ করিয়েছেন কোচ অনুরাগের বশবর্তী হয়ে।- তথ্যসূত্র : বাংলাট্রিবিউন ও ঢাকা পোস্ট